সকাল সোয়া ১০টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টার ভিডিও কনফারেন্সে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) তার কার্যালয় থেকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় দীর্ঘ সময়ের ভিডিও কনফারেন্সে তিনি একাধিক মন্ত্রী, বিভাগীয় কমিশনার, সিটি মেয়রসহ সরকার পরিচালনায় জড়িত গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে বর্তমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি প্রতিরোধে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, পরিস্থিতি কী এবং সামনের দিনে কী করতে হবে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেন।
প্রধানমন্ত্রীর তিনঘণ্টার ভিডিও কনফারেন্সে ঘুরেফিরে বর্তমান পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনধারণে খাদ্যনিশ্চয়তার কথাবার্তা উঠে আসে।
তিনি বলেন, ছুটি ঘোষণার কারণে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের সমস্যা হচ্ছে। কৃষক, চা শ্রমিক, হিজড়া, বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে। তারা দৈনন্দিন কাজে যেতে পারছে না। তাদের বাঁচিয়ে রাখা আমাদের সামাজিক কর্তব্য। সেখানে ১০ টাকা কেজিতে চালসহ নানা সহযোগিতা করা হয়েছে। তাদের কাছে সাহায্য ও খাদ্যদ্রব্য পাঠাতে হবে।
Advertisement
‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সবাইকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি ওয়ার্ড অনুযায়ী তালিকা করতে হবে। সেই অনুযায়ী সবাই যেন সাহায্য পায়। কেউ যেন বাদ না পড়ে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাহায্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দুঃসময়ে কেউ সুযোগ নিলে, কোনো অভিযোগ পেলে আমি কিন্তু তাকে ছাড়ব না। বিন্দু পরিমাণ অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, অদৃশ্য এক করোনা ভাইরাস পৃথিবীকে এক করে ফেলেছে। সবাই এ ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ব্যস্ত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসারে বাংলাদেশ আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করায় করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
Advertisement
তিনি বলেন, সরাসরি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় জড়িত চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্য সহযোগী স্টাফদের জন্য পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) প্রয়োজন, সবার জন্য এটির প্রয়োজন নেই।
রাজধানীতে মশার উপদ্রব শুরু হয়েছে বিষয়টা সিটি মেয়রকে মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গতরাতে মশার গুণগুণ গান শুনেছি। এ গান শুনতে চাই না।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের পাশাপাশি মশার উপদ্রব বন্ধে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। করোনার সঙ্গে ডেঙ্গু হলে তাতে ব্যাপক স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়বে।
প্রধানমন্ত্রী যখন ভিডিও কনফারেন্স শেষের ঘোষণা দেন তখন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, স্যার 'আজকে আপনি ভিডিও কনফারেন্সে তিনঘণ্টা সময় দিয়েছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলে ওঠেন, আপাতত নামাজের জন্য বিরতি। এরপর আবার টানা মিটিং চলবে। শুধু তাই নয়, তিন ঘণ্টার ভিডিও কনফারেন্স চলাকালে কর্মকর্তাদের টেবিলে খাবার পানি কেন নেই সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, কিছুক্ষণ পর পর অল্প করে পানি খেতে হবে।
এমইউ/এএইচ/পিআর