জাতীয়

করোনায় খাদ্য ঘাটতির দেশে খাদ্য দিতে চায় সরকার

ভয়াল করোনাভাইরাসের আক্রমনে বিশ্বব্যাপী চলছে হাহাকার। এ দুর্যোগে পৃথিবীর অনেক দেশেই খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে। আর বাংলাদেশকেই সেসব দেশে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) গণভবন থেকে ৬৪ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের পর ক্যাবিনেট ডিভিশনের সঙ্গে আলোচনায় কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাককে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো এবং খাদ্য সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ এরপর পৃথিবীর অনেক দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেবে। আমাদেরকেই কিন্তু সে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। সেটা মাথায় রেখেই আমাদের উৎপাদন বহুমুখী করা এবং বাড়ানোর দিকে মনোযোগী হতে হবে।’

কৃষিমন্ত্রীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। তার জন্য এখন যা যা ব্যবস্থা নেয়ার নিতে হবে।’

Advertisement

এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আমরা আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দিয়েছি যে একদম ইউনিয়ন-উপজেলা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তারা বাড়িতে যেতে পারবে না। তাদের কর্মস্থলেই থাকতে হবে। কারণ কৃষি উৎপাদন যেটা বৃদ্ধি করেছি সেটা অব্যাহত রাখতে হবে।’

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের গত কয়েকটি মৌসুমে খাদ্য উৎপাদন ভালো হয়েছে। এ মুহুর্তে খাদ্য ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত খাদ্য আমাদের রয়েছে। আসন্ন বোরো মৌসুমেও গত বছরের তুলনায় খাদ্য বেশি হবে বলে আমরা আশা করছি। আউশের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছি।

তিনি বলেন, ‘ফসল উৎপাদনে সার, বীজ ও সেচের সরবরাহ যাতে কোনোক্রমেই ব্যাহত না হয় সে জন্য আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের বলেছি। মাঠের ফসল সঠিকভাবে ঘরে তোলার বিষয়ে পরামর্শ দিতে বলেছি। সচিবালয় থেকে আমাদের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে বিষয়গুলো সমন্বয় করছে।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘পেঁয়াজ নিয়ে সমস্যা হয়েছিলো। এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে। পেঁয়াজ কীভাবে অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায় সে ব্যাপারে আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি। যাতে করে সামনের বছর পেঁয়াজে সমস্যা না হয়।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিজ্ঞানীরা লবণাক্ত সহিষ্ণু ধনের জাত আবিষ্কার করেছে। এসব ধান লবণাক্ত এলাকায় যেনো আবাদ করা হয় এ জন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। সার্বিকভাবে কৃষির উৎপাদন যে বৃদ্ধি পেয়েছে সেটা অব্যাহত রাখা এবং আরও বৃদ্ধি করার জন্য চেষ্টা করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস করোনাকে কেন্দ্র করে খাদ্য নিয়ে কোনো সমস্যা বাংলাদেশে হবে না। আমরা এটা মোকাবিলা করতে পারব।

এমইউএইচ/এমএফ/জেআইএম