মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও এই ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, তাই নিজেকে নিরাপদ রাখতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
Advertisement
এই কথাটা আমেরিকান জনগণরাও জানে। তবে একটা কথা আছে না-মানুষ মাত্রই কৌতূহল। এই চিরন্তন সত্য কথাটাকেই আরেকবার প্রতিষ্ঠিত করল আমেরিকানরা।
করোনাভাইরাসের ভয়াল ভীতির মাঝেও তারা রাস্তায় বেরিয়ে পড়ল জাহাজ দেখতে। এমনই ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে পিয়ার-৯০ নৌবন্দরে।
পিয়ার-৯০-তে আমেরিকান নেভির জাহাজ ইউএসএনএস-কমপোর্ট এক হাজার রোগীর বেড নিয়ে নিউইর্য়কে আসে। সোমবার দুপুরে সেই জাহাজ দেখতে শত শত আমেরিকান উৎসুক জনতা ভিড় করেছিলেন।
Advertisement
এ পর্যন্ত নিউইর্য়কে ৬৬ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ৩১ জন বাংলাদেশিসহ মোট এক হাজার ২৫০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। বেশিরভাগ মানুষেরই পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ছিল না।
ওই এলাকার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার রাজুব ভৌমিক বলেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম এটা বাঙালির স্বভাব। বাঙালিই একমাত্র জাতি যারা লকডাউনের মধ্যে সেনাবাহিনী দেখতে রাস্তায় যায়। না—আসলে এটা মানুষেরই স্বভাব।’
তিনি বলেন, আসলে মানুষ জন্মগতভাবেই কৌতূহলপ্রিয়। কিন্তু এই কৌতূহলতা যেন কারও মৃত্যুর কারণ না হয়-সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাঙালির কোনো ভুল দেখামাত্র সাধারণ মানুষ, বড় বড় কবি-সাহিত্যিকেরা পর্যন্ত গালমন্দ করেন। এ ধরনের গালাগাল অথবা মন্তব্য করার আগে ভাবুন। এইসব গালমন্দ পক্ষান্তরে আপনি নিজেকেই নিজে দিচ্ছেন।
Advertisement
এসআর/জেআইএম