করোনাভাইরাসের কাছে চরম অসহায় হয়ে পড়েছেন খুলনার মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের মানুষগুলো। কারও কাছে হাত পাততে না পেরে অনেকেই তিন বেলার পরিবতর্তে ২/১ বেলা আহার করতে শুরু করেছেন। জনপ্রতিনিধিরা যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করছেন তা পৌঁছাচ্ছে মধ্যবিত্তদের হাতে। অভিযোগ উঠেছে মুখ চিনে চিনেই তারা বিতরণ করছেন খাদ্যসামগ্রী।
Advertisement
গত ২৬ মার্চ থেকে প্রায় সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। করোনার ভয়ে রিকশা, ইজিবাইক চলাচলও সীমিত হয়ে যায়, বন্ধ হয়ে গেছে চায়ের দোকানসহ অন্যান্য দোকানপাট।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শুরু হয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ। খুলনা জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি খুলনা সিটি কর্পোরেশনও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু করে। কিন্তু এ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে মুখ চিনে চিনে। যারা ওই জনপ্রতিনিধির কাছের লোক, তারাই নামের তালিকা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। অভিযোগ উঠেছে, দলীয় লোক না হলে তাদের ভাগ্য সিটি কর্পোরেশনের ত্রাণ জুটছে না।
তবে নগরীর একাধিক জনপ্রতিনিধি জানান, তারা কোনো বাছ-বিচার না করেই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করছেন। এখন সময় অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। যারা মুখ চিনে বিতরণ করছেন, তারা ভালো করছেন না বলেও জানান ওই জনপ্রতিনিধিরা।
Advertisement
এ বিষয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ সামছুজ্জামান মিয়া স্বপন জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত হলো কোনো অসহায় মানুষ না খেয়ে থাকবে না। মুখ চিনে কাউকে ত্রাণ সামগ্রী দিতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও অনেকেই এ ধরনের কাজ করছে বলে আমরা শুনেছি। তাদেরকে সতর্ক করা হচ্ছে।
এদিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগসহ বিভন্ন সংগঠন, সংস্থার উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, ব্লিচিং দিয়ে এলাকায় জীবানুমুক্ত করার কাজ অব্যাহতভাবে চলছে। এসব কাজ যারা করছেন এলাকাবাসী তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে চলেছেন।
আলমগীর হান্নান/এমএএস/জেআইএম
Advertisement