দেশজুড়ে

সংসার চালাতে রাস্তায় তারা

ক‌রোনা ভাইরাস আত‌ঙ্কে সবাই যখন ঘ‌রে, তখন চাল-ডা‌লের খরচ জোগা‌তে রিকশা নি‌য়ে ফাঁকা রাস্তায় নে‌মে‌ছেন রাজবাড়ীর হত‌দরিদ্র কিছু রিকশাচালক। তারা বল‌ছেন মর‌নের ভয় আছে, তারপরও পে‌টের দায়ে রিকশা চালা‌তে নে‌মেছেন। পে‌টে ভাত থাক‌লে বাড়ি‌তেই ব‌সে থাক‌তেন।

Advertisement

জেলা রিকশা-ভ্যান শ্র‌মিক ইউনিয়‌ন নেতার দাবি, ক‌রোনা ভাইরা‌সে রিকশা-ভ্যান শ্র‌মিকরা সরকারি নি‌ষেধাজ্ঞা মান‌লেও কোনো সাহায্য সহ‌যো‌গিতা পান‌নি এবং তাদের সহ‌যো‌গিতা কর‌তে জেলা প্রশাসনসহ কেউ এগিয়েও আসেনি।

সরকারি নি‌ষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রিকশা চালা‌তে রাস্তায় নে‌মে‌ছেন রাজবাড়ীর হত‌দিরদ্র কিছু রিকশাচালক। কিন্তু সারা‌দি‌ন প্রখর রো‌দে রাস্তায় ঘুরে বেড়া‌লেও পা‌চ্ছেন না যাত্রী। আগে যেখা‌নে দি‌নে ৫-৭শ টাকায় আয় হ‌তো, এখন সেখা‌নে রাস্তায় হাতে গোনা কিছু রিকশা থাক‌লেও নেই যাত্রী। তারওপর বি‌ভিন্ন স্থা‌নে প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস্যদের বাঁধার সম্মু‌খীন হ‌চ্ছেন।

মা‌টিপাড়া এলাকার রিকশাচালক হা‌রেজ মিয়াসহ অনেকে ব‌লেন, তারা সবাই বহু বছর ধ‌রে রিকশা চালন। কিন্তু এমন অবস্থা কখনও দে‌খেন‌নি। মর‌নের ভয় আছে কিন্তু পে‌টের তা‌গি‌দে রিকশা চালা‌তে রাস্তায় নে‌মে‌ছেন। পে‌টে য‌দি ভাত থাক‌তো তাহ‌লে বাড়ি‌তেই ব‌সে থাক‌তেন। এখন ঝুঁকি নি‌য়ে বের হচ্ছেন। কিন্তু আয় হ‌চ্ছে না। রিকশা না চালা‌লে সংসার চালা‌নো কষ্টকর। সবাইকে না খে‌য়ে থাকতে হবে। যা আয় ক‌রছেন তা দি‌য়েই চাল-ডাল কি‌নে বাড়ি ফিরছেন।

Advertisement

জেলা রিকশা-ভ্যান শ্র‌মিক ইউনিয়‌নের সভাপ‌তি আব্দুল ওহাব সরদার ব‌লেন, তাদের ইউনিয়‌নের আওতায় প্রায় ৪ হাজা‌রের বে‌শি রিকশাচালক আছেন। তারা এখন সরকারি নি‌ষেধাজ্ঞা মান‌তে গি‌য়ে অনাহা‌রে দিন কাটা‌চ্ছেন। তাদের সহ‌যো‌গিতার জন্য সরকারের সহ‌যো‌গিতা প্রয়োজন।

জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম ব‌লেন, জেলার অসহায় দ‌রিদ্র রিকশাচালক‌দের তা‌লিকা করা হ‌চ্ছে। তা‌লিকা অনুযায়ী তাদের সহ‌যো‌গিতা কর‌বেন এবং চলার প‌থে অসহায় কেউ সাম‌নে পড়‌লে সেখানেই সহ‌যো‌গিতা দে‌বেন। এছাড়া য‌দি কেউ সহ‌যো‌গিতা না পায় তাহ‌লে স্থানীয় জনপ্র‌তি‌নি‌ধি‌দের সঙ্গে যোগা‌যোগ কর‌তেও ব‌লেন তিনি।

রু‌বেলুর রহমান/এফএ/জেআইএম

Advertisement