জাতীয়

জীবন বাঁচাতে ছুটে বেড়ান যারা তারাই চরম ঝুঁকিতে!

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। দুর্যোগকালীন করোনাভাইরাসে আক্রান্তসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাম্বুলেন্স চালক ও তাদের সহযোগীরা।

Advertisement

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বেসরকারি পর্যায়ে দুই হাজারেরও বেশি অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করলেও করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও সহযোগীদের জন্য পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) নেই।

ফলে সংক্রমণের চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন রোগী পরিবহন করছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও এ রোগের কারণে মৃত রোগী পরিবহনের সাথে জড়িতরা চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন। যদি অ্যাম্বুলেন্স চালক বা সহযোগীদের কেউ একজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং সে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায় তাহলে করোনা রোগী তো দূরের কথা সাধারণ রোগীদেরও অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পরিবেশ তৈরি হবে।

ঢাকা মহানগর অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, দেশের মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পর থেকে অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা আতঙ্কিত। প্রতিটি দেশেই রোগী স্থানান্তরের একমাত্র যান হিসেবে কাজ করে অ্যাম্বুলেন্স। এদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। দেশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর অন্যতম সেবা এই অ্যাম্বুলেন্স। রোগী স্থানান্তরে চালক ও সহযোগীরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

Advertisement

তিনি জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বরাবর বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও সহযোগীদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপকরণাদি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের জন্য সাহায্য চেয়ে সমিতির পক্ষ থেকে গত ২২ মার্চ আবেদন করা হয়। আবেদনপত্রে অ্যাম্বুলেন্স চালক ও সহযোগীদের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর এডিশনাল ডি আই জি তোবারক উল্লাহ্‌ সুপারিশ স্বাক্ষর করেন।

আবেদনে বলা হয়, সমিতির সাথে বিভিন্নভাবে যুক্ত থাকা এক হাজার ৩৭ জন মালিকের মোট দুই হাজার ৮০টি অ্যাম্বুলেন্স এই সেবায় সরাসরি সম্পৃক্ত। বৈশ্বিক দুর্যোগ তথা দেশের ক্রান্তিলগ্নে অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও সহযোগীরা কাজ করতে প্রস্তুত। তবে করোনাভাইরাস একটি সংক্রামক ব্যাধি যা প্রতিরোধের প্রথম পদক্ষেপ সংস্পর্শে না থাকা এবং পরিবেশ অনুযায়ী ক্ষার জাতীয়দ্রব্য দিয়ে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজারের ব্যবহার, মাস্ক পরিধান ও পোশাকের ব্যবহার বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে তারা মন্ত্রণালয়ের সাহায্য প্রার্থনা করেন।

উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে। সর্বশেষ হিসাবে করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯, মারা গেছেন ৫ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৯ জন।

এমইউ/বিএ

Advertisement