‘করোনাভাইরাসে জনগণ ঘর থেকে বের হলেই পুলিশ মারধর করছে’, এমন ক্যাপশনের একটি ছবি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবিটি এডিট করে পুলিশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দফতর। সোমবার এক প্রেস নোটে বিষয়টি জানিয়েছেন সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) সোহেল রানা।
Advertisement
পুলিশের বিরুদ্ধে গুজব ও মিথ্যা না ছড়িয়ে জনগণের সহযোগিতা চেয়ে প্রেস নোটে তিনি বলেন, ‘করোনার বিস্তাররোধে এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবল দেশ ও জাতির কল্যাণ নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই বাংলাদেশ পুলিশের দুই লক্ষাধিক সদস্য বিভিন্ন প্লাটফর্মে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। করোনার বিস্তাররোধে সারাদেশে লক্ষ-কোটি মানুষের সঙ্গে পুলিশের ইন্টারঅ্যাকশন বা সাক্ষাৎ হচ্ছে প্রতিদিন। এর মধ্যে গুটিকয়েক ঘটনা বা ইন্টারঅ্যাকশনের সময় পুলিশের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়গুলো মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য যে কোনো উপায়ে পুলিশ সদর দফতরের দৃষ্টিতে আসা মাত্রই মাঠ পর্যায়ে ইউনিট কমান্ডারদের তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সম্মানিত ইন্সপেক্টর জেনারেল ব্যক্তিগতভাবে ভিডিও বার্তায় এবং মোবাইল ফোনে অপারেশনাল সব কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলেছেন। অপারেশনাল ইউনিট কমান্ডাররাও মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের একইভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। ফলে একই ধরনের ঘটনার আর কোনো পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের দৃষ্টিতে পড়েনি কিংবা জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য কোনো প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় এমন কোনো সংবাদ আমাদের চোখে পড়েনি।’
তিনি আরও বলেন, তারপরও কিছু নিউজ মিডিয়ায় নতুন করে পুরোনো অভিযোগগুলো নিয়ে এমনভাবে নিউজ ছাপা হচ্ছে যাতে মনে হচ্ছে এখনও বলপ্রয়োগ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া একটি দুষ্ট চক্র অতীতের বিভিন্ন সময়ের পুরোনো ছবি ও ভিডিও যেগুলোর বিষয়ে তদন্ত করে সেই সময়েই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল তা এডিট করে বা কৌশলে ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে পোস্ট দিচ্ছেন। এমনকি ২০১১ সালে পুলিশ কর্তৃক বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি-সন্ত্রাস দমনের ছবিও ফটোশপ করে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সেগুলো সহজেই বিশ্বাস করে তার বিপরীতে তাদের উষ্মা প্রকাশ করছেন এবং তা শেয়ার করছেন।’
‘এ ধরণের মিথ্যাচারের ফলে পুলিশের শতভাগ সদস্য যারা দেশ ও জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও করোনা আক্রান্ত মরদেহ সৎকারসহ নানা উপায়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন, তারা মানসিকভাবে ডিমোটিভেটেড হচ্ছেন। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গুজব ছড়ানো ও মিথ্যাচার বন্ধ করে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায়, গুজব ছড়িয়ে ও মিথ্যাচার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়ালে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের সাইবার টিমগুলো গুজব ও মিথ্যা রটনাকারীদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে,’ যোগ করেন তিনি।
Advertisement
এআর/এমএফ/জেআইএম