‘ঘরে থাকুন, জনসমাগম এড়িয়ে চলুন, বাইরে গেলে মাস্ক পরুন।’ টহলরত সেনাসদস্য, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন হ্যান্ডমাইকে কথাগুলো বলতেই নীরব জনপদ আরো নীরব হয়ে গেল। গত ৩-৪ দিন ধরে সেনা সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে জনসাধারণের প্রতি এইসব আহ্বান জানাচ্ছেন। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ সদস্যরাও আলাদাভাবে সুরক্ষা প্রচারণা চালাচ্ছেন।
Advertisement
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক, ক্যাপ্টেন সাকিব, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন, মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সায়েদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। করোনা ভাইরাস সংক্রমণে জনসচেতনামূলক প্রচারণা এবং বাজার মনিটরিংসহ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মাঠে কাজ করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন সাকিবের নেতৃত্বে সেনা সদস্যরা উপজেলা সদরসহ এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে জনসচেতনামূলক প্রচারণায় অংশ নিয়ে জনগণকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ার জন্য মাইকিং করছেন। এর আগেও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা টহল দিয়েছেন। বাজার মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপজেলার ভাবখণ্ড, পাকুল্যা, মির্জাপুর সদর, কুতুব বাজার, দেওহাটা, হাটুভাঙ্গা, গোড়াই ও বাঁশতৈল এলাকা পরিদর্শন করেন।
এছাড়া বিদেশ ফেরতরা হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন কিনা স্থানীয় প্রশাসন ও সেনা সদস্যরা তাও দেখছেন। তারা রোববার সদরের পোষ্টকামুরীর দুটি ও বানাইল ইউনিয়নের ভাবখণ্ডে এক বিদেশফেরত প্রবাসীর বাড়ি পরিদর্শন করেন।
Advertisement
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক জানান, মির্জাপুরে কোনো এলাকায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কাউকে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এলাকার পরিবেশ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এস এম এরশাদ/এফএ/পিআর