আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মোট আক্রান্ত ১৪২০০৪, প্রাণহানি ২৪৮৪

যুক্তরাষ্ট্রে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত কয়েকদিনে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা সব দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। এমনকি করোনার উৎপত্তিস্থল চীনের চেয়েও যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি।

Advertisement

দেশটিতে নতুন করে আরও ১৮ হাজার ৪২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪২ হাজার ৪ জন। অপরদিকে দেশটিতে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান হয়ে নতুন করে আরও ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২ হাজার ৪৮৪ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৪ হাজার ৫৫৯ জন। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ হাজার ৯৭০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনার এই সঙ্কটের মধ্যে দেশটিকে সতর্ক করেছেন সরকারি সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফসি। এক সতর্ক বার্তায় তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসে প্রাদুর্ভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত এক থেকে দুই লাখ মানুষ মারা যেতে পারে। তার মতে, দেশটিতে আরও কয়েক মিলিয়ন মানুষ প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবে।

Advertisement

সিএনএনকে অ্যান্থনি ফসি বলেন, আমি বলব এই মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ থেকে দুই লাখ মানুষ মারা যাবে। আমরা মিলিয়ন মিলিয়ন রোগী পেতে যাচ্ছি। তবে আমি এই হিসাব-নিকেশে আটকে থাকতে চাই না। কারণ মহামারি এখন চলমান। এটি সত্যও হতে পারে আবার ভুল প্রমাণিতও হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতেই করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পর্যন করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্য। সেখানেই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো জানিয়েছেন, গত একদিনে ২৩৭ মৃত্যু নিয়ে শুধু নিউ ইয়র্কেই কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ৯৬৫ জন মারা গেছে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর একদিনে এত মৃত্যু দেখেনি নিউ ইয়র্ক।

গভর্নর কুওমো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে ৭ হাজার ১৯৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে ওই অঙ্গরাজ্যে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ হাজার ৫১৩।

Advertisement

এদিকে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মুঠোফোনের মাধ্যমে সকল বাসিন্দাদের চলাচলের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোটি কোটি মানুষের মোবাইল ফোন ট্র্যাকের মাধ্যমে করোনার বিস্তার কীভাবে হচ্ছে তা বোঝার চেষ্টা করছে দেশটির কেন্দ্রীয়, রাজ্য এবং স্থানীয় সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি), অঙ্গরাজ্য এবং স্থানীয় সরকার মানুষের অবস্থান ও চলাচল সংক্রান্ত পাওয়া এসব তথ্য বিশ্লেষণ করছে। তাতে মানুষের গতিবিধির ওপর নজরদারি করা হচ্ছে।

টিটিএন/পিআর