করোনাভাইরাস বিস্তার ঠেকাতে দেশকে ২১ লকডাউন করে রাখা নিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মাসিক বেতার ভাষণে জাতির উদ্দেশে তাকে ক্ষমা করে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ও সিএনএন এর প্রতিবেদনে এ খবর জানোনো হয়েছে।
Advertisement
পরিকল্পনা ছাড়া আচমকা দেশ লকডাউন করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সাধারণ মানুষও অনেকে অসুবিধায় পড়েছেন। বিশেষ করে দিনমজুর ও শ্রমিকরা। সেসব সমস্যার জন্য প্রথমেই দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন মোদি। তবে লকডাউন কেন প্রয়োজন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি।
মোদি বলেন, ‘দেশের প্রত্যেকটি মানুষের কাছ থেকে আমি সবার আগে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার বিবেক বলছে, আপনারা অবশ্যই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন কারণ আমি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা হয়তো না নিলে আপনার জীবন নানা ধরনের জটিলতার মধ্যে পড়ে যেত।’
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৪ মার্চ থেকে দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। দোকান, কারখানা, ধর্মীয় স্থাপনাসহ সকল অপ্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান লকডাউন চলাকালীন বন্ধ থাকবে। এর ফলে দেশটির দিনমজুর ও শ্রমিকরা অনাহারে থাকার শঙ্কায় পড়েছেন।
Advertisement
মোদি তার রেডিও ভাষণে এসব গরিব জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন আমি আমার গরিব ভাইবোনদের কথা ভাবি, আমি নিশ্চিতভাবে এটা অনুভব করি যে, তারা হয়তো ভাবছেন এ কেমন প্রধানমন্ত্রী যে আমাদের এমন জটিল পরিস্থিতির মধ্যে ফেলেছে। আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের সমস্যা বুঝতে পারছি কিন্তু ১৩০ কোটি মানুষের দেশ ভারতে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এটা হলো জীবন মৃত্যুর লড়াই। আমাদের এটা জিততে হবে। এমন কঠোর পদক্ষেপের অবশ্যই প্রয়োজন ছিল।
এসএ
Advertisement