দেশজুড়ে

বাড়িতে খাবার নিয়ে হাজির ইউএনও, কাঁদলেন রহিমন নেছা

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগর হাওলা গ্রাম। এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষেরই বসবাস দারিদ্র্যসীমার নিচে। কেউ দিনমজুর, কেউ রিকশাচালক, কেউ ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা। দিন এনে দিন খাওয়া এই মানুষগুলো করোনাভাইরাসের কারণে অঘোষিত লকডাউনে আজ কর্মহীন অবস্থায় ঘরে আবদ্ধ।

Advertisement

এদেরই একজন রহিমন নেছা। প্রতিবন্ধী ছেলে জহিরকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে কোনো মতে চলে তার সংসার। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশে কর্মহীন অবস্থায় তিনি ঘরে অবস্থান করছেন গত চারদিন ধরে। দিন এনে দিন খাওয়া রহিমন নেছার ঘরে খাবার বলতে কিছুই নেই।

স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ শামছুল আরেফীন শনিবার (২৮) রাত ১১টার দিকে সরকারি বরাদ্দের ১০ কেজি চাল, পাঁচ কেজি আলু, এক কেজি ডাল, এক কেজি পেঁয়াজ ও এক লিটার তেল নিয়ে ওই বৃদ্ধের বাড়িতে হাজির হন। ইউএনওর কাছ থেকে সরকারি বরাদ্দের খাদ্য সাহায্য পেয়ে কেঁদে ফেলেন রহিমন নেছা। চাল পেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শামছুল আরেফীন বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের নির্দেশে সবাই নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। এতে অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের মাধ্যমে অসহায় ও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারীদের নাম সংগ্রহ করার মাধ্যমে সরকারি খাদ্য সহযোগিতা নিয়ে তাদের দরজায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। কেউ যাতে বাদ না পড়েন সেজন্য আমরা সচেষ্ট আছি। দেশের সংকটময় মুহূর্তে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষের পাশে থাকার।

Advertisement

তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার ওয়াদ্দারদিঘীর ১০টি পরিবার ও নগর হাওলা গ্রামের ১০টি পরিবারের মধ্যে সরকারি সহায়তার খাদ্য বিতরণ করা হয়। এটা অব্যাহত থাকবে। এ সময় উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজনীন শারমীন উপস্থিত ছিলেন।

শিহাব খান/আরএআর/এমএস