জাতীয়

চট্টগ্রামে খুলছে খাবারের হোটেল, তবে নিতে হবে পার্সেল

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলছে। এ ছুটিতে দেশব্যাপী জরুরি জিনিসপত্রের দোকান ছাড়া অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে এবার শর্তসাপেক্ষে চট্টগ্রাম নগরে খাবারের দোকান ও হোটেল খোলা রাখার অনুমতি দিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

Advertisement

রোববার (২৯ মার্চ) রাত ৮ টার দিকে নগর পুলিশের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জনগণের সুবিধার কথা চিন্তা করে শর্তসাপেক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর খাবার দোকান, বেকারি ও রেস্টুরেন্ট খোলা রাখা যাবে মর্মে সকল থানার অফিসার ইনচার্জদের (ওসি) নির্দেশনা প্রদান করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান। অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে যেন রেস্টুরেন্ট মালিকরা খাবার বিক্রির কার্যক্রম পরিচালনা করেন সে বিষয়ে সকল থানার ওসিদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।

তবে এ ক্ষেত্রে দোকান মালিকদের কিছু শর্ত মেনে চলতে বলা হয়েছে। সেগুলো হলো-

Advertisement

>> শুধু খাবার সংগ্রহ করে বাসায় পার্সেল করে নেয়া যাবে।

>> রেস্টুরেন্ট বা দোকানের ভেতর খাবার খাওয়া যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রেস্টুরেন্টে আসা-যাওয়া করতে হবে।

>> খাবার সংগ্রহের সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে লাইনে দাঁড়াতে হবে।

>> রেস্টুরেন্ট বা খাবার দোকানকে কেন্দ্র করে কোনোপ্রকার আড্ডা চলবে না।

Advertisement

>> খাবার তৈরি থেকে বিক্রি পর্যন্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হবে।

>> প্রত্যেক খাবারের দোকানে প্রবেশপথে হ্যান্ডওয়াশ বা স্যানিটাইজেশন ব্যবস্থা রাখতে হবে।

>> খাবার পার্সেলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময়ে মানুষের মাঝে শৃঙ্খলা আনতে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ২৫ মার্চ থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। বন্দরনগরের বিভিন্ন প্রধান প্রধান সড়কে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ দল। চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর ১৭ টিম কাজ করছে। এর বাইরে চট্টগ্রাম জেলাসহ তিন পার্বত্য জেলায় মোট ৪৩টি টিম এখন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মাঠে আছে।

চট্টগ্রামে অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে জেলা প্রশাসনের ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেট। আছেন স্ব-স্ব থানার ওসিরাও। তারা ৫-৭ জনের বেশি মানুষ যেন জড়ো না হয় এবং জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব মেনে চলাফেরা করে- সেটা নিশ্চিত করছেন।

এফআর/এমএস