জাতীয়

রিকশাচালকরা রাস্তায় নামতে শুরু করেছেন

আক্রান্ত ছাড়া করোনায় ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি দরিদ্র মানুষেরই। একদিন কাজ করতে না পারলেই চিন্তায় পড়ে যেতে হয়, কী খাবে। করোনার কারণে বেশ কয়েক দিন ধরে কাজ করতে পারছেন না তারা। অনেকেরই এখন অর্ধাহারে, অনাহারে দিন কাটছে। না খেয়ে মরে গেলেও অনেকে কাজের জোগাড় করতে পারবেন না। তবে রিকশাচালকদের উপার্জনের চেষ্টা করার সুযোগ আছে। ইতোমধ্যে তাদের অনেকেই রিকশা নিয়ে রাস্তায় নেমে গেছেন।

Advertisement

রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও কাঁচাবাজার এলাকায় দেখা যায়, গত কয়েক দিনের তুলনায় রাস্তায় রিকশার সংখ্যা বেড়েছে।

রিকশাচালকরা জানান, করোনা সংক্রমণ শুরুর কয়েক দিন তারা বাসায়ই ছিলেন। কিন্তু এখন আর তাদের পক্ষে বসে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। তাই উপার্জন করতে তারা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় রিকশা নিয়ে নেমেছেন।

খিলগাঁওয়ের রিকশাচালক মো. সোহাগ বলেন, ‘যা পরিস্থিতি, তাতে নিজের পেট বাঁচাইতে হইলে রাস্তায় নামতেই হইব। প্রথম দুদিন বাসায় ছিলাম। তারপর তো আর থাকার মতো সিস্টেম নাই। আমার সংসার চলে গাড়ি চালাইয়া।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘আজকেই রিকশার পরিমাণ বেশি। গত দু-তিন দিন ছিল না।’

তিন দিন কাজ না করে বসেছিলেন নজরুল শেখ। তিনি বলেন, ‘হ ভাই, বইয়া থাকলে চলব কীভাবে? কয়দিন বইয়া থাহুন যায়। আমি তিন দিন বইসা ছিলাম। গতকাল থেকে কাজ শুরু কইরা দিছি।’

চার দিন বসে থাকার পর গত শনিবার থেকে রিকশা চালানো শুরু করেছেন রাজধানীর বেগুনবাড়ির বাসিন্দা মো. ঋজু। তিনি বলেন, ‘বাসায় বইসা থাকলে তো আর হবি না। বউ-বাচ্চা, মা-বাপ আছে। তারা ঢাকাতেই থাকে। সংকটে পড়ে গেছি। কয়দিনের থেকে আজকে রিকশা বেশি। কয়দিন বইসা থাইকা আর খাবে।’

তবে একদিনও বসে থাকতে পারেননি কুড়িগ্রামের রাজারহাটের রিকশাচালক এরশাদুল হক। রোববার সকাল ৮টায় বের হয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৭০ টাকা ভাড়া মেরেছেন তিনি।

Advertisement

এরশাদুল হক বলেন, ‘আমার বাচ্চা-কাচ্চা লেখাপড়া করাতে হয়। নিজের খেতে হয়। বাচ্চা-কাচ্চার খাবার দিতে হয়। নিজের ওধুষ কিনতে হয়। সংসার চালাতে হয়। বসে থাকলে চলবে?’

পিডি/বিএ/এমএস