পঞ্চগড়ে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ঘরে থাকা অসহায় মানুষের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ সরকারি বরাদ্দ থেকে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।
Advertisement
রোববার দুপুরে জেলা সদরের চিনিকল গেট, সরকারি অডিটোরিয়ামের সামনে দুস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাবিনা ইয়াসমিন।
খাদ্য সহায়তা বিতরণের সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যসামগ্রী হিসেবে প্রতি প্যাকেটে চাল ১০ কেজি, ডাল এক কেজি, আলু পাঁচ কেজি, তেল এক লিটার ও একটি করে সাবান দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার এক হাজার পরিবারকে এসব খাদ্য সহায়তা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
Advertisement
পরে জেলা প্রশাসক ও প্রতিনিধি দল আধুনিক সদর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনসহ প্রতিনিধি দলকে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম ঘুরে দেখান সিভিল সার্জন ডা. মো. ফজলুর রহমান।
ফজলুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত পঞ্চগড়ে করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। একজন আইসোলেশনে থাকার পর আইইডিসিআর কর্তৃক তার নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন বলে নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস সচেতনতায় পৌরসভা এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জীবাণুনাশক ছিটানো অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, সরকারি নির্দেশনা মেনে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বিদেশফেরতদের উপহার তুলে দিচ্ছে জেলা পুলিশ। বিদেশফেরতদের উৎসাহ জোগাতে পুলিশের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। প্রতিদিন পুলিশ কর্মকর্তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়ি গিয়ে উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন।
জেলা পুলিশ জানায়, জেলায় ২৫ মার্চ পর্যন্ত বিদেশ থেকে ফিরেছেন ৯৭২ জন। এদের মধ্যে ভারতীয় ৯০৬ জন। বাকিরা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব, দুবাই, সুদান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা, গ্রিস, উগান্ডা ও চীন থেকে এসেছেন। এদের মধ্যে ৮০৮ জনের ঠিকানা ধরে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। বাকি ১৬৪ জনের ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে তাদের কোয়ারেন্টাইনের সময় পার হয়ে গেছে। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২৭৮ জন।
Advertisement
পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রত্যেককে উৎসাহ জোগাতে উপহার দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তারা সরকারি নির্দেশনা মেনে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন কি-না তা নিয়মিত দেখভাল করা হয়।
সফিকুল আলম/এএম/এমকেএইচ