কথায় বলে মাছে-ভাতে বাঙালি। ভারতজুড়ে তিন সপ্তাহের লকডাউন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে ভাত থাকলেও টান পড়েছে মাছে। সকাল সকালই বাজার থেকে উধাও রুই-কাতলা। সে কারণে শহরবাসীর কাছে মাছ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পশ্চিম বঙ্গের মৎস্য উন্নয়ন দফতর।
Advertisement
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লকডাউনের সময় শহর ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায় মাছ বিক্রি করবে মৎস উন্নয়ন দফতর। বাজারগুলোতেও প্রশাসনের আওতায় মাছ বিক্রি করা হবে। পাশাপাশি মৎস উন্নয়ন দফতরের অ্যাপের (এসএফডিসি) মাধ্যমেও ঘরে বসে মাছ কেনা যাবে।
রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে মাছ পৌঁছে দিতে শনিবার থেকে শহরে দশটি গাড়ি চালু হয়েছে। আগামী সোমবার থেকে আরও দশটি গাড়ি চলবে।
একটি সূত্র বলছে, নলবনে নিগমের বিশাল জলাশয় থেকে শনিবার ভোরে প্রায় তিনশো কেজি মাছ ধরা হয়েছে। ওই মাছ সেদিন সকালে দশটি গাড়িতে করে সল্টলেকের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়েছে। যোধপুর পার্ক, টালিগঞ্জ, যাদবপুরের মতো জায়গায় মাছ বিক্রি হয়েছে। নবান্নেও একটি মাছের গাড়ি পাঠানো হয়েছে। রোববার শ্যামবাজার মোড়ে একটি গাড়ি পাঠানোর কথা রয়েছে।
Advertisement
জলাশয়ের টাটকা রুই, কাতলা, মৃগেল, তেলাপিয়া ছাড়াও চিংড়ি, ট্যাংরা ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। রোববার থেকে বালিগঞ্জ, কালীঘাট, নিউ টাউনেও এই পরিষেবা পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার থেকে সারা শহরে মৎস্য দফতরের গাড়ি ঘুরবে। লকডাউনের এই পরিস্থিতিতে যখন বাড়িতে থাকার জন্য সরকার জোর দিচ্ছে, সেই অবস্থায় অ্যাপের মাধ্যমে মাছ বিক্রির সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথবাবু। তিনি বলেন, লকডাউনের পরিস্থিতিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পরিষেবা চালু রেখে শহরবাসীর দরজায় দরজায় ন্যায্য মূল্যে মাছ পৌঁছে দেওয়া হবে।
টিটিএন/এমএস
Advertisement