জাতীয়

ঢামেকে রোগীদের শতভাগ ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে রোগীদের শতভাগ ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান।তিনি বলেন, বর্তমানে রোগীদের বাইরে থেকে কোনো ওষুধ কিনে আনতে হয় না। ইনডোর ও আউটডোর থেকে রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা জন্য দামি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ও ইনজেকশন নিয়মিত সরবরাহ করা হচ্ছে।  রোববার কুকুরের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত নবজাতক ফাইজার হাসপাতাল থেকে বিদায়কালে আয়োাজিত এক অনুষ্ঠানে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, কিছুদিন আগ পর্যন্ত সরবরাহে ঘাটতি থাকার কারণে কিছু সংখ্যক ওষুধপত্র বাইরে থেকে কিনে আনতে হতো। কিন্তু বর্তমানে ওষুধের কোনো প্রকার সংকট নেই। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে রোগীদের সাথে কথা বলে প্রায় শতভাগ ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে কি-না তা অনুসন্ধান করে দেখতে পারেন।মিজানুর রহমান বলেন, সিনিয়র-জুনিয়র চিকিৎসক ও নার্সসহ সকল শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চলছে। তিনি মাগুরায় গুলিবিদ্ধ শিশু সুরাইয়া ও কুকুরের কামড়ে ক্ষতবিক্ষত নবজাতক শিশুকে বাঁচিয়ে তুলতে  চিকিৎসকরা টিম হিসেবে কাজ করে সাফল্য এনেছেন বলে দাবি করেন তিনি। তিনি জানান, বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ২ হাজার ৬শ হলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২ হাজার ৪শ’ বেডের বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে। ঢামেক হাসপাতাল থেকে কোনো রোগী ফেরত দেয়া হয় না বলে এ হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২শ’ রোগী থাকে। ২৪শ’ বেডের রোগীর বরাদ্দ দিয়ে অতিরিক্ত রোগীর খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এক পর্যায়ে এ প্রতিবেদক তার কাছে সুনির্দিষ্টভাবে শতকরা কতভাগ রোগী বিনামূল্যে ওষুধ পাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৯০শতাংশের বেশি সংখ্যক রোগী বিনামূল্যের ওষুধ পাচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলা যায়। ক্যান্সারসহ কিছু জটিল রোগের ওষুধ  ও ইনজেকশনের দাম বেশি হওয়ায় হয়তো তা সরবরাহ করা  সম্ভব হয় না। তবে তারা সব ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলেও জানান।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাসপাতাল পরিচালক শতভাগ ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহের জোর দাবি করলেও এখনও পর্যন্ত বহু রোগীকে বাইরের ফার্মাসি থেকে ওষুধ ও ইনজেকশন কিনতে দেখা গেছে। তারা জানিয়েছেন, ওয়ার্ড থেকে ডাক্তার ও নার্সরা স্লিপ হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন। সম্প্রতি বার্ন ইউনিটে এক গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। তার স্বজনরা রোগীর মৃত্যুর আগেই জানান, তাদেরকে  সিলক্রীম ও হার্টসল স্যালাইন বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে। অন্যান্য পোড়া রোগীরাও একই অভিযোগ করেছেন। হাসপাতালের এসএলপিপি ডা.মসিউর রহমান সোমবার বিকেলে জাগো নিউজকে জানান, চলতি অর্থ বছরে ওষুধ কেনার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। খুব শিগগিরই  টেন্ডারে যারা ওয়ার্কঅর্ডার পেয়েছেন তারা ওষুধ সরবরাহ শুরু করবেন। তখন প্রায় সব রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।এমইউ/এসকেডি/পিআর

Advertisement