‘আসসালামুআলাইকুম, কেমন আছেন? আপনার তো কোয়ারেন্টাইন চলছে। সবকিছু ঠিকঠাক? হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার সঙ্গে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদেরকেও সচেতন করে দিয়ে বলবেন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য। এখন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি চলছে, ইনশাআল্লাহ্ সবাই মিলে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করব।’
Advertisement
হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাস ফেরতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কথাগুলো বলছেন কুমিল্লা সেনানিবাসের ৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর মো. মাহফুজ আলম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় রোববার দুপুর পর্যন্ত দুই হাজার ৬৪৬ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হোম কোয়াররেন্টাইনে রাখা হয়েছে ১০৯ জনকে।
রোববার সকাল ১০টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরশহরের কাজীপাড়া মহল্লায় গিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসফেরতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিয়ম মেনে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন মেজর মাহফুজ। বৈশ্বিক এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশনা মেনে যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাদেরকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
Advertisement
মেজর মো. মাহফুজ আলম সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৬ মার্চ থেকে আমরা মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছি। আমরা চেষ্টা করছি বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসাধারণের মাঝে সচেতনা তৈরি করার। সবাই হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চললে আমরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারব।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.বি.এম মশিউজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহ মো. শরীফ ও পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাস ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন, জনসমাগ এড়ানো এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গত ২৬ মার্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। টহল কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করার কাজও করছেন তারা।
এদিকে বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের সদর হাসপাতাল সড়কে জীবাণুনাশক ছিটিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মীরা।
Advertisement
আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/পিআর