গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার চাইলে আগাম নির্বাচন দিতে পারে। তবে ২০১৯ সালেই দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার গণভবনে বিকেলে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন সম্পর্কে এমন আভাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে সময় মতোই নির্বাচন হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সরকার চাইলে আগাম নির্বাচন দিতে পারে। তবে ২০১৯ সালেই দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য নির্বাচন করতে হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপিকে আনার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু তারা নির্বাচনে অংশ তো নেয়নি বরং নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করেছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন না হলে কী হতো? ১/১১-এর ধাক্কা তো এর আগে সামলাতে হয়েছে। একটা নির্বাচন হলে তো আরেকটা নির্বাচন আসবেই। নির্বাচন সময়মতোই হবে। যে যার মতো যা বুঝতে চায়, বুঝে নিক। আমি তো বুঝিয়ে দিতে পারব না।প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য সরকার নির্বাচন করে। এর আগে কোনো সরকারই পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকেনি। ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে আমরাই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলাম।
Advertisement
পশ্চিমবঙ্গে শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়াকে হত্যার যে জঙ্গি তৎপরতা এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদেশে জঙ্গি তৎপরতা ছিল আমরা তা বন্ধ করেছি। উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমি উদ্বিগ্ন বোধ করি না। অনেক আগেই মারা যাওয়ার কথা ছিল, ভাগ্যক্রমে বেঁচে আছি।বাংলাদেশের জনগণের জন্য যতটুকু করার তৌফিক আল্লাহ দিয়েছেন ততটুকু না করে আমি মারা যাব না বলেও জানান শেখ হাসিনা।সংবাদ সম্মেলনে আমিরাতের সঙ্গে শ্রমিক নেয়ার ব্যাপারে জটিলতা নিরসনে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।