নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সরকারি খাল দখল করে শিল্প প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য নিষ্কাশনের পাইপ বসাচ্ছে একটি বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান। করোনার ছুটি কাজে লাগিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এ কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
এলাকাবাসীর দাবি, যেকোনো মূল্যে এ পাইপ বসানো থেকে বিরত রাখতে হবে ওই শিল্প প্রতিষ্ঠানকে। এ পাইপ দিয়ে একটি ইকোনোমিক জোনের প্রায় ২০টি কোম্পানির দূষিত বর্জ্য পার্শ্ববর্তী মারিখালী নদীতে ফেলা হবে। এতে করে ওই এলাকায় প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া এলাকায় ফুলবাড়িয়া খালটি দখল করে মেঘনা ইকোনোমিক জোনের প্রায় ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের দূষিত পানি এ খাল দিয়ে পাইপের মাধ্যমে নিষ্কাশিত হবে। এর আগে আরো দুটি কোম্পানির পানি এ খাল দিয়ে নিষ্কাশিত হয়েছে। এতে করে এ এলাকাবাসী বায়ু ও পানি দুষণের কবলে পড়ে। ফলে এলাকায় কোনো পুকুর বা জলাশয়ে মাছ নেই। এখন এই পানি খালে পড়লে মোগরাপাড়া, বাড়ি মজলিস, বাড়িচিনিস, ফুলবাড়িয়া, ডহরপাড়া, ষোলপাড়া, গোহাট্টা, দমদমাসহ প্রায় ১০ গ্রামের মানুষের পানিবাহিত রোগসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি করোনার প্রাদুর্ভাবে সরকারি ছুটিতে এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়ায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান সরকারি খাল দখল করে এ পাইপের কাজ করে যাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে চৈতি ও ক্যানটাকি নামের দুটি শিল্প প্রতিষ্ঠান এ খাল দিয়ে তাদের দূষিত বর্জ্য নিষ্কাশন করেছে। এ দূষিত বর্জ্যের কারণে তাদের বাড়িঘরে চলাফেরা করা দায় হয়ে পড়েছিল। সম্প্রতি নতুন করে এ খাল দিয়ে মেঘনা ইকোনমিক জোনের প্রায় ২০টি শিল্প কারখানা দূষিত পানি পার্শ্ববর্তী মারিখালী নদীতে ফেলার পায়তারা করছে। এতে করে ওই নদীতে গোসল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। তাছাড়া এ নদীতে মাছ থেকে শুরু করে দূষিত পানির প্রভাবে কীটপতঙ্গও মরে যাচ্ছে। মেঘনা গ্রুপর জেনারেল ম্যানেজার কার্তিক চন্দ্র দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর লাইনটি কেটে দেন।
Advertisement
সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, কোনোভাবেই সরকারি খাল দখল হতে দেয়া যাবে না। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।
শাহাদাত হোসেন/এফএ/পিআর