বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াত সুবিধার্থে বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করেছে জেলা প্রশাসন।
Advertisement
শনিবার (২৮ মার্চ) থেকে করোনা ইউনিটের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াত সুবিধার্থে এ সার্ভিস চালু করা হয়।
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশের মতো বরিশালেও বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গনপরিবহন। সামাজিক দূরত্ব বজায় ও ঘরে অবস্থান নিশ্চিতে বরিশাল নগরীসহ জেলার সর্বত্র টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। কেউ ঘর থেকে বের হলে পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। এতোসব প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ঝুঁকি নিয়েও বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দায়িত্বপালন শেষে বাড়ি ফেরায় ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের।বিষয়টি অবগত হওয়ারর পর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়।
বরিশাল জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) এএফএম শামীম জানান, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রথম সারির যোদ্ধা হচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। ছোঁয়াচে এ রোগের প্রকোপ থেকে মানুষকে বাঁচিয়ে ফেরানোর দায়িত্ব যাদের, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে জেলা প্রশাসন গাড়ির ব্যবস্থা করেছে।
Advertisement
জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শাহাদাৎ হোসেন জানান, জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের যাতায়াত সুবিধার্থে বাস সার্ভিস চালুর নির্দেশ দেন। এরপর শনিবার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম বাকির হোসেন জানান, হাসপাতালের নতুন বর্ধিত ভবনে করোনা ইউনিট খোলা হয়েছে। সেখানে করোনা সন্দেহে ছয়জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সেবায় চিকিৎসকদের নিয়ে সাতটি দল করা হয়েছে। প্রতিটি দলে সাতজন চিকিৎসক রয়েছেন। এছাড়া প্রতি দলের সঙ্গে চার সেবিকা ও একজন করে পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের যাতায়াতে সমস্যা দেখা দেয়। বাস দুটির কারণে এখন তাদের যাতায়াতের সমস্যা হবে না।
সাইফ আমীন/এএইচ/পিআর
Advertisement