মাসখানেক আগেই দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিশ্বকাপের মঞ্চে, হাঁকিয়েছিলেন সেঞ্চুরি, গড়েছিলেন বিশ্বরেকর্ড। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিকেট মাঠে যা যা করা সম্ভব প্রায় সবই করেছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হিদার নাইট।
Advertisement
সেবার দায়িত্ব ছিল ক্রিকেট খেলার, যা যথাযথই পালন করেছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক। এবার মিশনটা সরাসরি দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। এই মিশনে পিছপা হননি হিদার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নাম লেখালেন হিদার।
এমন নয় যে, করোনা পরিস্থিতিতে পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছেন হিদার। এই মাত্র দশ দিন আগেই অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে দেশে ফিরেছেন দলের সঙ্গে। বর্তমানে ব্রিস্টলে প্রেমিকের সঙ্গে কাটাচ্ছেন লকডাউনের সময়টা।
এরই মাঝে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন, নিজেকে বিলিয়ে দেবেন দেশের মানুষের জন্য। বিবিসিতে লেখা কলামে হিদার নিজেই জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নাম লিখিয়েছেন তিনি। যেখানে তার কাজ হবে খাবার ও ওষুধের ডেলিভারি দেয়া, অসুস্থ রোগিদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া আইসোলেশনে থাকা মানুষদের খোঁজখবর নেয়া।
Advertisement
হিদার লিখেছেন, ‘যেহেতু আমার হাতে অনেক অবসর সময় এখন, তাই এনএইচএসের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিজের নাম লিখিয়েছে। নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো সবাইকে সাহায্য করার জন্য। আমার ভাই এবং তার সঙ্গী- দুজনই ডাক্তার। আমার কিছু বন্ধু আছে যারা এনএইচএসে কাজ করে। তাই আমি জানি তারা কত কঠোর পরিশ্রম করছে এবং পরিস্থিতিটা এখন কত কঠিন।’
গত বুধবার প্রায় ৫ লাখের বেশি মানুষ এনএইচএসের এই স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্পেইনে নাম লিখিয়েছেন। যার সুবাদে পরদিন সন্ধ্যায় এনএইচএসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে সারা দেশের সবাই মিলে একযোগে হাততালি দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে হিদার বলেন, ‘দরজায় দাঁড়িয়ে সেবা দানকারীদের জন্য তালি দেয়া অসাধারণ ছিলো। এখন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নাম লিখিয়ে আরও বেশি কাজ করার সুযোগ পাওয়া যাবে। আমি গাড়িতেই সব করবো, যেহেতু ওষুধ ডেলিভারির কথা বলা হয়েছে আমাকে। এছাড়া কেউ যদি বাড়িতে একা একা বোর হয়, তাকে কল করে মানসিক সাহস দেয়ার জন্যও বলা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন হিদার। যার সুবাদে বিশ্বের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে গড়েছিলেন তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড। সেই হিদার এবার নাম লেখালেন আরও বড় কাজে, মহৎ উদ্যোগে।
Advertisement
এসএএস/পিআর