লকডাউন করা হচ্ছে পবিত্র মদিনা নগরীর কয়েকটি শহর। নগরীর আস শুরাইবাত, বনী যুফার, কুরবান, আল জুময়া, আল ইসকান, বানী খুদরা এলাকাসমূহ এই লকডাউনের আওতাভুক্ত থাকবে। সৌদির সরকারি এক ঘোষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
সরকারি ঘোষণায় বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় ২৮ মার্চ ভোর ছয়টা থেকে ২৪ ঘণ্টা এই কারফিউ কার্যকর করা হয়েছে। এই সময় উল্লিখিত এলাকাগুলোতে ঘর থেকে বের হওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে জরুরি চিকিৎসাসেবা ও মুদিপণ্য কেনাকাটার জন্য খুব নিয়ন্ত্রিতভাবে ওই সময়ের মধ্যে বাসা থেকে বের হওয়া যাবে।
এ ছাড়া পেশার খাতিরেও যারা পূর্বে কারফিউ বা লকডাউনের আওতামুক্ত ছিল তারাও নিয়ন্ত্রণাধীনভাবে এলাকাসমূহে চলাচল করতে পারবেন।
এদিকে সৌদি আরবে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। গত ২৫ মার্চ দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. মুহাম্মদ আল আবেদ আলী জানান, নতুন করে ১৩৩ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে; যার বেশিরভাগই রাজধানী রিয়াদে। রিয়াদে ৮৩ জনকে শনাক্ত করা হয়।
Advertisement
এছাড়া দাম্মামে ১৩ জেদ্দায় ১০ এবং কাতিফ ও মদিনাতে ৬ জন করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। নাজরানে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ জন। দুজন করে আক্রান্ত হয়েছেন আভা ও আরারে। এছাড়া দাহারান ও জুহাইলে একজন করে করোনা রোগী শানাক্ত করা হয়।
এদিকে করোনা বিস্তারে সমগ্র সৌদি আরবজুড়ে কারফিউয়ের হুকুম জারি করেছেন বাদশাহ সালমান। কারফিউয়ের সময়ে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। তবে তা শুধু রাজধানী রিয়াদ এবং পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এগুলো বাদে অন্যান্য অঞ্চলে সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত সময় কারফিউ জারি থাকবে।
গত ২৩শে মার্চ থেকে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করেন বাদশাহ সালমান। তাই প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান, সুপারমার্কেট অর্থাৎ বাকালা এবং খাবারের দোকান ছাড়া অন্যান্য সব দোকান ও অফিস-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
তবে ২৫শে মার্চ এক ঘোষণায় রিয়াদ, মক্কা ও মদিনা শহরের জন্য কারফিউ এর সময়ে পরিবর্তন আনা হয়। নতুন সময় অনুযায়ী এই তিন শহরে দুপুর ৩টা থেকে শুরু হয়ে ভোর ৬টা পর্যন্ত বিশেষ এই কারফিউ জারি থাকবে। কারফিউ চলাকালীন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।
Advertisement
ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে সৌদিতে সব ধরনরে জমায়েত নিষিদ্ধ। এমনকি মসজিদে নামাজ পড়ানোও সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রেস্তোরাঁয় বসে খাওয়াও আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এমআরএম/এসএ