দেশের ৬৪টি জেলা এবং ৬১ উপজেলায় সকল ধরনের ল্যাবরেটরি, ট্রেনিং টেকনিশিয়ান, ইপিআই টেকনিশিয়ান, এমটি ল্যাব, রেডিওগ্রাফারদের পিসিআর মেশিন তথা কোভিক-১৯-এর টেস্ট প্রশিক্ষণ দিচ্ছ দিচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
Advertisement
শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় আইইডিসিআর।
ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইতোমধ্যে ৬৪টি জেলায় এবং ৬১টি উপজেলায় পিসিআর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আজকে বেলা ১১টা থেকে বাকি উপজেলাগুলোতে টেকনিশিয়ানদের ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
ঢাকায় ইতোমধ্যে আইইডিসিআর ছাড়াও আইসিডিডিআরবি, শিশু হাসপাতাল, একটি বিজ্ঞানভিত্তিক অলাভজনক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগিরই ঢাকা মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হবে।
Advertisement
আইইডিসিআর আরও জানায়, ঢাকার বাইরে সব বিভাগে পিসিআর সম্প্রসারণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিসেস-এ পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। রংপুর ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর মেশিন বসানোর কাজ চলছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানো হয়েছে। সেখানে পিসিআর মেশিন বসানোর কাজ তদারকি করছেন তারা। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে অন্য বিভাগগুলোতে পিসিআর টেস্ট অর্থাৎ কোভিক-১৯ টেস্ট করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে অতিরিক্ত ১৬টি ভেন্টিলেটর মেশিন বসানো হয়েছে। শেখ রাসেল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ডাইজেস্টিভ ডিজিজেস রিসার্চ অ্যান্ড হাসপাতালে আটটি ভেন্টিলেটর বসানোর কাজ চলছে। ইতোমধ্যে এই হাসপাতালটিকে কোভিক-১৯-এর জন্য ডেডিকেট করা হয়েছে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালকেও কোভিক-১৯-এর চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হবে। সেখানে আইসিইউ বেড বসানোর কাজ চলছে।
দেশে এ পর্যন্ত মোট ৪৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন পাঁচজন। আর সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন।
Advertisement
জেইউ/এসআর/এমকেএইচ