করোনা আতঙ্কে দেশজুড়ে লকডাউন। বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত। তবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। ফলে গৃহবন্দি হয়ে অফিসের কাজ করার পরও কাটে না দুশ্চিন্তা। অস্থিরতা বিরাজ করে মনের মধ্যে। এসব কাটিয়ে উঠতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আসুন জেনে নেই সেসব সম্পর্কে–
Advertisement
যথাসময়ে কাজ: মনোবিদরা বলেছেন, বাড়িতেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেরে ফেলুন অফিসের যাবতীয় কাজ। বাসায়ও চলুন রুটিন মেনে। একটানা কাজ করতে ভালো না লাগলে মাঝেমধ্যে একটু বিশ্রাম নিন। যেটা অফিসে চা পান করতে করতে হতো।
কথা বলুন: কাজের ফাঁকে ফাঁকে কথা বলুন অফিসের সহকর্মী এবং পরিচিত বন্ধুদের সঙ্গে। অবশ্যই এ ক্ষেত্রে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ইন্টারনেট, ফোন কল, ভিডিও কল এবং সোশ্যাল সাইটে কথা বলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক ও মনোবিদরা।
আতঙ্ক নয়: দেশের এমন পরিস্থিতিতে অযথা আতঙ্কিত হবেন না। যারা বাড়ি থেকে দূরে রয়েছেন, তারাও মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। কারণ মানসিক উদ্বেগ বা চিন্তা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমিয়ে দেয়। ফলে এ সময়ে ঘনঘন অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।
Advertisement
সৃজনশীল কাজ: লকডাউন অবস্থায় অফিসের কাজের পর নিজের মতো সময় পরিচালনা করুন। এ সময় সৃজনশীল কাজেও মনোনিবেশ করতে পারেন। যা এতদিন অফিসের কাজের চাপে সম্ভব হয়ে উঠছিল না। সেরে ফেলুন সেসব জরুরি কাজ। তবে তা অবশ্যই যেন ঘরের মধ্যে হয়।
অতিরিক্ত চিন্তা: অতিরিক্ত চিন্তা করবেন না। সময়ের সাথে সাথে সব পরিস্থিতি মানিয়ে নিতে হয়। ফলে ঘরে বসে উল্টা-পাল্টা চিন্তা করে বিপদ বাড়াবেন না। অবসরে খবরের কাগজ, গল্পের বই পড়ুন। তাছাড়া ভালো-মন্দ রান্না করে হাত আরও পাকা করে ফেলুন।
রুটিন মেনে চলুন: অফিসের দিনগুলোতে যেভাবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রুটিন মেনে চলতেন। লকডাউনেও একই নিয়মাবলী মেনে চলুন। কারণ সবাইকে নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। ফলে রুটিন মেনে চলা নিজের এবং পরিবারের জন্য জরুরি।
শান্ত থাকুন: এমন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করুন। মাথা গরম করে যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। ফলে সুস্থ-স্বাভাবিক থাকুন। আর করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
Advertisement
এসইউ/এমএস