ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে ফেবুসকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর দায়ে আটক শ্রাবণের (২৫) বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে সরাইল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সরাইল থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. খলিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
Advertisement
শ্রাবণ সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের আশিকুর রহমানের ছেলে। তিনি সরাইল উপজেলার একটি বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন বলে জানা গেছে। পুলিশের ধারণা শ্রাবণ মানসিকভাবে অসুস্থ।
সরাইল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাদাত হোসেন জানান, শ্রাবণ মানসিকভাবে অসুস্থ বলে মনে হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে এলোমেলো তথ্য দিয়েছে। তার কোনো তথ্যই গ্রহণযোগ্য নয়, বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোয় তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনদিন আগে ফেসবুকে শ্রাবণের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে নিজেকে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র উল্লেখ করে শ্রাবণ বলেন, কীভাবে বাংলাদেশকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত করতে পারবেন সেটি তার গবেষণায় তিনি পেয়েছেন। শুধু বাংলাদেশই নয়, গোটা বিশ্বকে তিনি করোনাভাইরাস মুক্ত করতে পারবেন।
Advertisement
ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশকে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত করার বিনিময়ে ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং বিশ্বকে মুক্ত করার জন্য এক লাখ কোটি টাকা দাবি করেন শ্রাবণ। এটিকে ‘ডিল’ উল্লেখ করে যোগাযোগ করার জন্য নিজের মুঠোফোন নম্বরও দেন তিনি। শ্রাবণের এই ভিডিও ভাইরাল হয় ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে। অনেকেই তাকে গ্রেফতার করার দাবি জানান। এর প্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার রাতে শ্রাবণের নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সরাইল থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহকারী পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মো. মাসুদ রানা বলেন, ভিডিও বার্তায় বলা কথাগুলোই আমাদের বলেছে শ্রাবণ। তার মানসিক সমস্যা আছে বলে মনে হচ্ছে। হয়তোবা তার সঙ্গে কিছু মানুষ মজা করে এটি করিয়েছে। তার বাবার সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি, তিনিও বলেছেন শ্রাবণ ভবঘুরে টাইপের। আরও কিছু লোককে আমরা খুঁজছি। তাদেরকে পেলে বিষয়টি পরিষ্কার জানতে পারব।
আজিজুল সঞ্চয়/এফএ/এমএস
Advertisement