শিল্পাঞ্চলখ্যাত গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা। বিভিন্ন কারখানায় কাজের সুবাদে দেশের বিভিন্ন জায়গার মানুষ বসবাস করেন এ উপজেলায়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে দেশের অন্যান্য জায়গার মতো এখানেও চলছে অঘোষিত লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে সরকার সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিলেও এখানকার কর্মজীবী মানুষরা যাচ্ছেন গ্রামের বাড়ি। তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ট্রাক-পিকআপকে বেছে নিয়েছেন তারা।
Advertisement
শনিবার বেলা ১১টায় উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় কথা হয় কারখানা শ্রমিক তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, কারখানায় ছুটি ঘোষণা করায় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ময়মনসিংহের তারাকান্দার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি। মহাসড়কে বাস না পেয়ে জনপ্রতি ১৫০ টাকা ভাড়ায় পিকআপে উঠেছেন। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে ময়মনসিংহ পর্যন্ত জনপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা ভাড়া গুনতে হয়।
ঢাকার একটি দোকানে চাকরি করেন অপর যাত্রী রোকরুনুজামান। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশে বিভিন্ন যান পাল্টে মাওনা চৌরাস্তা পর্যন্ত এসেছেন। এখন তিনি ১৫০ টাকা ভাড়ায় পিকআপে উঠেছেন। স্বাভাবিক সময়ে দীর্ঘদিনেও ছুটি হয় না, স্ত্রী-সন্তানদের সময় দেয়াও হয়ে ওঠে না। করোনা ভাইরাসের কারণে যে বন্ধ পেয়েছেন তা তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সকলের সঙ্গে কাটাতে চান।
এ বিষয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিলেও অনেকেই তা মানছেন না। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তারা ট্রাক-পিকআপকেই বেছে নিয়েছেন। তবে এতে ঝুঁকি থাকার পাশাপাশি সরকারে নির্দেশ অমান্য করছেন। হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন মহাসড়কে ওই সকল ট্রাক-পিকআপ থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়ার পাশাপাশি যাত্রীবাহী ট্রাক-পিকআপের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।
Advertisement
এফএ/এমএস