হালকা গরম পানিতে পাতিলেবুর রস খান, গরমে ভালো থাকবেন। নিমপাতা, টকদই মাস্ট। সজনে ডাঁটা অত্যন্ত উপকারী। খেতে হবে হালকা খাবার। করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা থেকে দূরে থাকতে রাজ্যবাসীর জন্য এমনই ডায়েট চার্ট বেঁধে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisement
শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যবাসীকে ভালো থাকার দাওয়াই হিসেবে এসব খাওয়ার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সকালে একটু উষ্ণ জলে পাতিলেবুর রস দিয়ে খান। গলা ভালো থাকবে। টকদইও খুব ভালো এখন। নিমপাতাও খান। আমি রোজ সকালে ৪টে করে নিমপাতা খাই। হালকা খাবার খান, শরীর ভালো থাকবে।’
এমনিতেই বেশ স্বাস্থ্য সচেতন পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী। নিজের কাজে যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন প্রতিদিন তার ৪-৫ কিলোমিটার হাঁটা চাই। পাহাড়ে যান কিংবা বিদেশ সফরে-এই হাঁটার রুটিনে একটি দিনও ব্যতিক্রম হওয়ার জো নেই। একই সঙ্গে,পরিমিত খান সহজপাচ্য, হালকা খাবার। এই তিন কড়া রুটিনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ প্রজন্মের ফিগার কনশাস যেকোনো মানুষকে টেক্কা দিতে পারেন অনায়াসেই।
Advertisement
এইসব কারণে বিশেষ রোগব্যাধি তার কাছ ঘেঁষে না। তাই নিজের সুস্থ জীবনযাপনের সেই টোটকাই তিনি দিলেন রাজ্যের মানুষজনকে। করোনা সংক্রমণের কবল থেকে বাঁচতে এগুলো যথেষ্ট সহায়ক বলে তিনি মনে করেন।
শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়েট চার্ট ছাড়াও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা দেন। দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের মতো কঠিন পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা ঠিক কেমন হওয়া উচিৎ, তা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দেন তিনি। সাফ বললেন, ‘কেউ রেশন কিনতে গেলে, ওষুধ কিনতে গেলে যেন আটকানো না হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না কেউ।’
গত কয়েকদিনে অতি বাড়াবাড়ির কারণে সাতজন পুলিশকে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
পুলিশের উদ্দেশে এই বার্তার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাজ্যের তরফে তৈরি তহবিলটিও। এই তহবিলে আর্থিক সাহায্য করলে আয়কর ছাড়ের ঘোষণা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
Advertisement
এই সময়ে রেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। এ বিষয়ে তার ভাষ্য, ‘বিলি করার জন্য যদি না কাউকে পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে স্থানীয় ছেলেমেয়েদেরই এই কাজে লাগাতে হবে। প্রয়োজনে তারাও দিনের শেষে একটা সম্মানী পাবেন।’
কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতিতে কোনোভাবে যাতে রেশন বণ্টনের কাজ যাতে ব্যাহত না হয়, সেদিকেই সর্বদা নজর রাখার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের।
এসআর/এমএস