করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ (হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস)। মার্কিন সিনেটে অনুমোদনের দু’দিন পর শুক্রবার এই প্যাকেজের অনুমোদন দেয় ডেমোক্রেট সংখ্যাগরিষ্ঠ পরিষদ। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এটাই এযাবৎকালের বৃহত্তম প্রণোদনা প্যাকেজ।
Advertisement
এদিন টানা তিন ঘণ্টার বিতর্ক শেষে প্রতিনিধি পরিষদে কণ্ঠভোটে পাস হয় প্রণোদনা প্যাকেজটি। হাউসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেন, গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আমরা ইতিহাসের অন্যতম অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যগত সংকটের মুখোমুখি হয়েছি।
কী আছে প্যাকেজে?করোনা সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরাসরি অর্থ সহায়হতার ব্যবস্থা রয়েছে এই প্রণোদনা প্যাকেজে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৫০০ বিলিয়ন এবং পরিবারগুলোর জন্য সর্বোচ্চ তিন হাজার ডলার করে ২৯০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ৩৫০ বিলিয়ন, বেকারদের সহায়তায় ২৫০ বিলিয়ন এবং হাসপাতাল ও চিকিৎসা সরঞ্জাম বাবদ ১০০ বিয়িলন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি কী?যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের কারণে ইতোমধ্যেই রেস্টুরেন্ট, বার, সিনেমা হল, হোটেল, জিমসহ অসংখ্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশটিতে গাড়ি উৎপাদন বন্ধ, বিমানভ্রমণের হারও কমে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ ভাগের একভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান কোনও না কোনও ভাবে লকডাউনের শিকার। গত বুধবার দেশটিতে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা রেকর্ড ৩৩ লাখে পৌঁছেছে।
কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছিল, চীনের পর করোনা সংক্রমণের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। সপ্তাহ যেতে না যেতেই সেই আশঙ্কা সত্যি হয়ে দেখা দিয়েছে।
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৯৬ হাজার ৯২০ জনের শরীরে ধরা পড়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস, মারা গেছেন ১ হাজার ৪৭৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়েছে ১৭৮ জন, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি।
Advertisement
সূত্র: বিবিসি, ওয়ার্ল্ডওমিটারকেএএ/