দেশজুড়ে

৩০০০ প্রবাসী পলাতক, কাটাখালী গ্রাম লকডাউন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রাম লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

Advertisement

মাদারীপুর, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে মোট ৬৪ জন ব্যক্তি নিজ বাড়ি কাটাখালী গ্রামে আসায় স্থানীয় প্রশাসন ওই গ্রামকে লকডাউন করে দেয়।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই গ্রামের বাইরে থাকা ৬৪ জন ব্যক্তি বাড়ি ফেরেন। খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে ওই গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরকার মোহাম্মদ রায়হান। তবে লকডাউন করা গ্রামের ওই ৬৪ ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত কি-না তা নিশ্চিত নয়।

ইউএনও সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, গত দুদিনে মাদারীপুর, ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে মোট ৬৪ জন ব্যক্তি কাটাখালী গ্রামে নিজ বাড়িতে এসেছেন। যেহেতু মাদারীপুর করোনাভাইরাস আক্রান্ত এলাকার অন্যতম, সে কারণে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ও সতর্কতামূলক কাজের অংশ হিসেবে গ্রামটি লকডাউন করা হয়েছে। যদিও প্রাথমিকভাবে ওই ব্যক্তিদের মাঝে করোনা আক্রান্ত বা অসুস্থ কাউকে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, লকডাউন চলাকালে গ্রামের সবাই দুই সপ্তাহের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। এ সময়ের মধ্যে গ্রামের কেউ বাইরে বের হতে পারবেন না এবং বাইরের কেউ গ্রামে প্রবেশ করতে পারবেন না। কেউ লকডাউন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই সময়ের মধ্যে গ্রামের মানুষের খাদ্য সহায়তার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করে কী করা যায় সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

চাটমোহর থানা পুলিশের ওসি সেখ নাসির উদ্দিন বলেন, কাটাখালী গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। গ্রামে প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে গ্রাম পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে, পাবনায় শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭০০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ৯০ ভাগ বিদেশফেরত।

Advertisement

পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কেএম আবু জাফর বলেন, পাবনায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। তবে বিদেশফেরত প্রায় ৩০০০ ব্যক্তির এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্ত তাদের পাওয়া যায়নি। তারা সবাই পলাতক রয়েছেন।

একে জামান/এএম/বিএ