ঢাকার বিভিন্ন সড়কে একসঙ্গে টহল দিয়ে রোবাস্ট প্যাট্রোলিং করল সেনাবাহিনী, র্যাব ও তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ।
Advertisement
করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে জনগণকে সচেতন করতে শুক্রবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁও থেকে শুরু হয় এই সচেতনতামূলক প্যাট্রোলিং।
পুলিশ জানায়, বিদেশফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে ও সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে সচেতনতামূলক এই রোবাস্ট প্যাট্রোলিং হয়েছে।
প্যাট্রোলিং বহরের সামনে পুলিশ-র্যাবের মোটরসাইকেল সাইরেন বাজিয়ে নেতৃত্ব দেয়। আর পেছনে তিন বাহিনীর প্রায় শতাধিক গাড়ি লাইন ধরে চলতে থাকে। এসময় গাড়িগুলো থেকে মাইকে ‘ঘরে থাকুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কমান’, ‘নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচতে সাহায্য করুন’, ‘বিদেশ থেকে এলে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকুন’ ইত্যাদি বার্তা দেয়া হয়।
Advertisement
আর্মড ফোর্সেসের পক্ষ থেকে প্যাট্রোলিংয়ে নেতৃত্ব দেন মেজর বেলাল, ডিএমপির পক্ষ থেকে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব বিজয় তালুকদার এবং র্যাবের নেতৃত্বে ছিলেন এসপি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী।
তেজগাঁওয়ের ডিসি বিপ্লব সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌথ টহলের আয়োজন করা হয়েছে। আপনারা ঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন। আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলুন। আমরা মানুষকে সচেতন করছি, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
মানুষকে ঘরে ঢোকাতে বিভিন্ন জেলায় পুলিশকে লাঠিচার্জ ছাড়াও কঠোর হতে দেখা গেছে। ঢাকাতে এমন কোনো অবস্থা তৈরি হয়েছে কি-না জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা প্রধান সড়কগুলো ক্লিয়ার রাখতে পারছি, কিন্তু অলি-গলিতে মানুষ ঠিকভাবে মানতে চাচ্ছেন না। সেখানে আমরা তাদের বলার চেষ্টা করছি আপনার ঘরে থাকুন। আমরা এখনো বল প্রয়োগ করিনি। চেষ্টা করছি ভালোভাবে বলে যেন এটা মানাতে পারি।
দুপুরে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) কার্যালয় থেকে শুরু হওয়া যৌথ টহল শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, মানিক মিয়া এভিনিউ, হাতিরঝিল ঘুরে শেরেবাংলা নগরে গিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেষ হয়।
Advertisement
এআর/এইচএ/জেআইএম