গণমাধ্যম

কাল থেকে পাওয়া যাবে না মানবজমিন, পড়তে হবে অনলাইনে

করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হচ্ছে দেশের বহুল আলোচিত ট্যাবলয়েড পত্রিকা মানবজমিনের ছাপানোর কাজ। ফলে এ সময়ে পত্রিকাটি আর কাগজে পড়ার সুযোগ থাকছে না।

Advertisement

শুক্রবার (২৭ মার্চ) থেকে বন্ধ রয়েছে এর ছাপানোর কাজ। এ জন্য শনিবার (২৮ মার্চ) থেকে এই পত্রিকাটি আর ছাপানো কপি পড়তে পারবেন না পাঠকরা। তবে অনলাইনে সচল থাকছে পত্রিকাটি।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কাগজটি ছাপানো বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি ফের অনুকূলে এলে কাগজ ছাপানো হবে বলে এর সঙ্গে জড়িতরা জাগো নিউজকে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পত্রিকাটির সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে পুরো পৃথিবীর প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। আমরা এখন কাজ করতে পারছি না। পত্রিকা ছাপালেও তা বিলি করার জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য আগামীকাল আর এটি ছাপানো হবে না। তবে অনলাইন ভার্সন দেখতে পারবেন পাঠকরা। অনলাইন চালিয়ে যাব।’

Advertisement

কবে নাগাদ আবার এটি প্রকাশিত হতে পারে? জবাবে তিনি বলেন, ‘পরিবেশ স্বাভাবিক হলেই আমরা আবার ছাপানোর কাজ শুরু করব।’ পত্রিকাটির ইতিহাসে এমন সময় আর কখনও আসেনি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

পত্রিকাটির সিনিয়র রিপোর্টার কাজী সোহাগ বলেন, ‘আর্থিক দুরবস্থার ‘ জন্য আমাদের পত্রিকাটি বন্ধ হচ্ছে না। বন্ধ হচ্ছে করোনাভাইরাসের কারণে। এতদিন পত্রিকাটি ছাপানো হলেও ভাইরাসের কারণে পাঠকের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছিল না। এ কারণে সাময়িক বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ জন্য আমাদের বেতন-ভাতা পেতে কোনো সমস্যা হবে না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। আগে যেভাবে নিয়মিত বেতন পেতাম এখনও তাই পাব। আমরা সবাই অনলাইনে কাজ করব। প্রায় ২০ বছর ধরে প্রকাশিত পত্রিকাটি এখন অনলাইনে পাঠক পড়তে পারবেন।’

এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশব্যাপী কাজ করছে সেনাবাহিনী। এছাড়া মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। টানা বন্ধ ও করোনার কারণে জনসমাগম এড়িয়ে চলার কারণে অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। রাজধানী ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গেছে।

এ অবস্থায় পত্রিকা বাসায় বাসায় পৌঁছে দেয়াটাই বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া করোনার কারণে অন্যের হাত থেকে পত্রিকা নিতেও অপারগতা দেখাচ্ছেন পাঠকরা।

Advertisement

উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে দেশব্যাপী এখন পর্যন্ত ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন আর প্রাণ হারিয়েছেন ৫ জন।

এইচএস/এফআর/জেআইএম