সিলেটে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে কোয়ারেন্টাইনে থাকা যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক বৃদ্ধের (৬৫) রক্ত ও মুখের লালাসহ নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকালে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) একজন কর্মী ওই প্রবাসীর নমুনা সংগ্রহ করেন।
Advertisement
শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সুশান্ত কুমার মহাপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ওই প্রবাসীর শরীরের ঘাম, রক্ত ও মুখের লালাসহ প্রয়োজনীয় নমুনা সকালে সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল রিপোর্ট হাতে পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে মৌলভীবাজারের এক দম্পতি সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাদেরকে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বামীকে হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে রেখে স্ত্রীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেয়।
এদিকে সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইনে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন ১০০ জন। আর কোয়ারেন্টাইনের নির্দিষ্ট সময় ১৪ দিন পার করায় ১৬৯ জন কোয়ারেন্টাইন মুক্ত হয়েছেন।
Advertisement
শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় ১০ মার্চ থেকে কোয়ারেন্টাইনের হিসাব রাখা শুরু করে। সিলেট বিভাগে এখন একে হাজার ৩৫৭ জন হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন। নতুনভাবে কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হওয়াদের মধ্যে সিলেটে ১৫ জন, সুনামগঞ্জে ১৯ জন, হবিগঞ্জে ৪৮ জন এবং মৌলভীবাজারে ১৮ জন। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বেশিরভাগই বিদেশফেরত। বাকিরা তাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন।
ডা. আনিসুর রহমান জানান, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ১৬৯ জন মুক্ত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ধরা পড়েনি। এ নিয়ে সিলেটে মোট ১ হাজার ৪৯৮ জন কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড়পত্র পেলেন।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/পিআর
Advertisement