নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয় ভিক্ষুকদের মনেও চেপে বসেছে। এ রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে সোশ্যাল ডিসটেন্স কিংবা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ সম্পর্কে ভিক্ষুকরা খুব বেশি কিছু জানেন না।
Advertisement
মুখে মুখে শুনে করোনা রোগটি যে ভয়াবহভাবে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে তা জানেন। তাইতো জুমার নামাজ উপলক্ষে প্রতি সপ্তাহের মতো আজও রাজধানীর বিভিন্ন মসজিদের নিচে তারা ভিক্ষা পাওয়ার আশায় বসেছেন বটে কিন্তু আগের মতো গায়ে গায়ে লেগে বসেননি। কাছাকাছি বসলে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন এমন আশঙ্কায় নিজেরাই কয়েক ফুট দূরে দূরে বসেছেন।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে লালবাগ ও নিউমার্কেট থানা এলাকার বেশকিছু মসজিদ ঘুরে ভিক্ষুকদের নির্দিষ্ট দূরত্বে বসে ভিক্ষা করতে দেখা গেছে।
করোনাভাইরাসের কারণে দুপুরে আজানের পর মসজিদের মাইকে বলা হয়, মুসল্লিদের মধ্যে যারা বয়স্ক কিংবা জ্বর, হাঁচি ও কাশিতে ভুগছেন তারা যেন মসজিদে না এসে বাসায় জোহরের নামাজ পড়েন। যারা মসজিদে আসবেন তারা যেন মুখে মাস্ক পড়ে আসেন।
Advertisement
করোনাভাইরাস আতঙ্কে মসজিদগুলোতে তুলনামূলকভাবে ভিড় কম ছিল। অপেক্ষাকৃত বয়স্ক মুসল্লিদের মসজিদে উপস্থিতি ছিল কম। প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হতে সরকারি নিষেধের কারণে ছুটির দিনে নগরজুড়ে ছিল কোলাহলহীন পরিবেশ। জুমার নামাজ শেষে বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনার কবল থেকে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ববাসীর মুক্তি কামনায় আল্লাহর দরবারে দুহাত তুলে মোনাজাত করেন মুসল্লিরা।
সরেজমিনে কয়েকটি মসজিদ ঘুরে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে ভিক্ষুকরা খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখে ভিক্ষার জন্য বসেছেন। আজিমপুর নিউ পল্টন লাইনের আল হেরা জামে মসজিদের বাইরে আকলিমা নাম একজন ভিক্ষুক বলেন, ‘কী বলে ভাইরাস আইছে, কাছে বইলে মানুষ জ্বরে মইরা যায়। হের লাইগা দূরে দূরে বইছি।’
এলিফ্যান্ট রোড উড়োজাহাজ মসজিদের নিচে অবস্থানকারী সালাম শেখ নামে এক বৃদ্ধ বলেন, ‘করোনার কারণে মাইনষের দানের হাত খুলছে। আগের চেয়ে ভালো আয় রোজগার হচ্ছে।’
এমইউ/জেএইচ/এমএস
Advertisement