ফুটবল বিশ্বে অনেক বড় এক ধাক্কা হয়ে এসেছিল আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্টেটার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর। গত ১২ মার্চ আর্টেটা কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়ার পরপরই বন্ধ করে দেয়া হয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেলা, আরও সতর্ক হয় ক্লাবগুলো।
Advertisement
সেদিন থেকে যথাযথ আইসোলেশনে থাকায় দুই সপ্তাহের কম সময়েই সেরে উঠেছেন আর্সেনাল কোচ। গত সোমবার জানা গেছে, তিনি এখন বিপদমুক্ত, জয় করেছেন করোনার ভয়।
তবে করোনা আক্রান্ত দিনগুলো মোটেও সহজ ছিলো না বলে জানিয়েছেন আর্টেটা। তার মতে এই কয়েকটা দিন তাকে অনেক বড় শিক্ষা দিয়ে গেছে করোনা। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে করোনা আক্রান্ত দিনগুলোর অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন আর্টেটা।
যেখানে তিনি জানিয়েছেন, এই মহামারীতে আক্রান্ত হওয়ার পর বুঝতে পেরেছেন সারাবিশ্বের মানুষকে মানসিকভাবে আরও উন্মুক্ত হওয়া উচিৎ। সবাই আরও কাছে থাকার চেষ্টা করা উচিৎ, একে অপরের। কারণ করোনার ফলেই বোঝা যাচ্ছে নিষঙ্গ থাকার কষ্ট।
Advertisement
আর্টেটা বলেন, ‘আমরা এখন এমন একটা সময়ে বাস করছি, যেখানে সোশ্যাল মিডিয়াই যেন সবকিছু। একটা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেই যেনো যোগাযোগ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু একে অপরকে ছোঁয়া, অনুভব করা, আলিঙ্গন করাটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি এসব মিস করছি, আমার ভালোবাসার মানুষদের কাছ থেকে। আমাদের মানসিকভাবে আরও উন্মুক্ত হতে হবে। একে অপরের অনুভূতি বুঝতে হবে।’
করোনার উপসর্গ টের পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ক্লাবে জানিয়েছিলেন আর্টেটা। পরে নিজেকে বন্দী করেন আইসোলেশনে। সে সময়টা এতোই কঠিন ছিলো যে, এই মহামারী কেটে যাওয়ার পর আর এ বিষয়ে আলোচনা করার পক্ষপাতী নন আর্টেটা।
‘আমরা জানি না কতদিন লাগবে, দুই-তিন মাস নাকি আরও বেশি। আমরা যদি শীঘ্রই এটি কাটিয়ে উঠতে পারি, তাহলে স্রেফ ভুলে যাওয়াই ভালো। কারণ এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’
আইসোলেশনে বন্দী থাকার সময়টাতে নিজের তিন সন্তানকে নিয়ে। কারণ তার স্ত্রী এবং ন্যানিকেও আক্রমণ করেছিল এই ভাইরাস। তবে তার বাচ্চারা এর থেকে নিরাপদই ছিলো।
Advertisement
আর্টেটা বলেন, ‘সবচেয়ে কঠিন বিষয় ছিলো যে, আমার ঘরে তো আরও মানুষ আছে। তিনটা বাচ্চা আছে আমার। ওদের নিয়ে শ্চিন্তা হচ্ছিল। আমার স্ত্রী-ন্যানিও আক্রান্ত হয়েছিল। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, বাচ্চাদের কিছু হয়নি। এখন আমরা সবাই সুস্থ্য আছি।’
এসএএস/এমএস