প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সামনে অসহায় সারাবিশ্ব। কারও কাছেই নেই প্রতিষেধক। যথাযথ প্রতিরোধ-প্রতিকার ব্যবস্থা নেয়ার পরেও ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা।
Advertisement
এমতাবস্থায় যে যার মতো চেষ্টা করছেন নিজ নিজ জায়গা থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে। বসে নেই বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনও। এরই মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে দাতব্য কাজে। একই পথে হেঁটেছে ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামও।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকে দাতব্য স্টোর করার উদ্যোগ নিয়ে রিয়াল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মহামারি করোনার বিরুদ্ধে দুই সংস্থা একত্রে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামের খালি জায়গা ব্যবহার করা হবে সাহায্য পাওয়া মেডিকেল সরবরাহ রাখার কাজে।’
‘যা কিছু পাওয়া যাবে সব স্প্যানিশ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হবে। যারা সরকারের তত্ত্বাবধানে সন্তোষজনক এবং কার্যকরভাবে এগুলো ব্যবহার করবে। এই জরুরি অবস্থায় এটা খুব দরকার।’
Advertisement
‘এছাড়া ক্লাবও প্রয়োজনীয় বস্তু এবং ব্যবসায়িক বিষয়গুলো, যেগুলো খেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তেমন কিছু যদি দান করা যায়, সেটা আর্থিক হোক অথবা কোনো যন্ত্রাদি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সাহায্য করার চেষ্টা করবে।’
বার্নাব্যুর এ খবরের পরপরই জানা গেলো, ব্রাজিলের কর্তৃপক্ষ তাদের ঐতিহাসিক মারাকানাকেও ছেড়ে দিচ্ছে করোনা যুদ্ধে লড়াই করার জন্য। এখনও পর্যন্ত ব্রাজিলে প্রায় ৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন করোনা, মারা গিয়েছে অন্তত ৭৭ জন।
শুরুতে প্রশাসনিকভাবে করোনাকে পাত্তা দেয়নি ব্রাজিল। তবে ক্রমেই বুঝতে শুরু করেছে এর ভয়াবহতা। করোনার বিস্তাররোধে প্রাদেশিক গভর্নররা লকডাউন করে দিচ্ছেন তাদের নিজ নিজ অঞ্চল। তাদের সঙ্গে এই যুদ্ধে এবার নাম লেখাচ্ছে মারাকানাও।
তবে মারাকানার আগে ব্রাজিলের আরও দুইটি স্টেডিয়াম ব্যবহৃত হচ্ছে অস্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্র হিসেবে। ব্রাসিলিয়ার মানে গারিঞ্চা স্টেডিয়াম এবং সাও পাওলোর পাসেমবু স্টেডিয়ামের সঙ্গে এবার যুক্ত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম রিও ডি জেনিরোর মারাকানা।
Advertisement
প্রাথমিকভাবে মারাকানাকে মেডিকেল সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করার কথাই ভেবেছে কর্তৃপক্ষ। তবে রিও ডি জেনিরোর প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এখনও ঠিক করতে পারেননি কত শয্যার হাসপাতাল করা হবে মারাকানায়। স্টেডিয়ামটির পুরো কমপ্লেক্স এবং প্রয়োজনে মাঠের জায়গাও ব্যবহারের ইচ্ছা রয়েছে তাদের।
এসএএস/এমএস