করোনায় মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়াল। বিভিন্ন দেশে ২৪ হাজার ৭৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস।
Advertisement
অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৪২ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। এর আগ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ছিল চীনে।
কিন্তু এখন আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকেও ছাড়িেয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ৪৩৫ এবং মারা গেছে ১ হাজার ২৯৫ জন। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৮৬৮ জন।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর থেকেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। কিন্তু এখন চীনের চেয়েও বেশি প্রাণহানি ঘটেছে ইতালিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৮ হাজার ২১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
ইতালিতে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৫৮৯। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৬১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অপরদিকে, চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১০ হাজার ৩৬১ জন।
ইতালির পরেই করোনার ভয়াবহ রুপ দেখেছে স্পেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৬৫ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এছাড়া করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ হাজার ৭৮৬। অপরদিকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭ হাজার ১৫ জন।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৩৪০ এবং মারা গেছে ৩ হাজার ২৯২ জন। অপরদিকে দেশটিতে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৭৪ হাজার ৫৮৮ জন।
জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত ৪৩ হাজার ৯৩৮ এবং মৃত্যু ২৬৭, ইরানে আক্রান্ত ২৯ হাজার ৪০৬ এবং মৃত্যু ২ হাজার ২৩৪, ফ্রান্সের আক্রান্ত ২৯ হাজার ১৫৫ এবং মৃত্যু ১ হাজার ৬৯৬।
Advertisement
অপরদিকে, যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত ১১ হাজার ৬৫৮ এবং মৃত্যু ৫৭৮। সৌদি আরবে আক্রান্ত ১ হাজার ১২ এবং মৃত্যু ৩, ভারতে আক্রান্ত ৭২৭ এবং মৃত্যু ২০। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৪৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ৫ জন। অপরদিকে, চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন।
টিটিএন/এমএস