খেলাধুলা

ভারতের স্টেডিয়াম এখন লকডাউন অমান্যকারীদের কারাগার

করোনা মোকাবিলায় যতদূর সম্ভব এগিয়ে আসছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গন। কেউ কেউ আর্থিক অনুদান দিয়ে চেষ্টা করছেন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে, কেউ আবার বিনামূল্যে দিচ্ছেন খাবার। একইসঙ্গে সবার উদ্দেশ্যে সচেতনতামূলক বার্তাও দিচ্ছেন তারকা খেলোয়াড়রা।

Advertisement

এর বাইরে ক্রীড়া সংগঠকরা চেষ্টায় আছেন স্টেডিয়ামগুলোকে যথাযথ কাজে ব্যবহার করতে। ভারতে কলকাতার ইডেন গার্ডেনস এবং হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামকে মেডিকেল সেন্টার হিসেবে পরিণত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। স্পেনে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুকেও ছেড়ে দেয়া হয়েছে করোনা যুদ্ধে ব্যবহার করার লক্ষ্যে।

এগুলো গেল করোনার বিপক্ষে লড়ার জন্য ক্রীড়াঙ্গনের কিছু অবদানের উদাহরণ। শুধু এতেই সীমাবদ্ধ নয় ক্রীড়াঙ্গনের অবদান। করোনা যুদ্ধে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাদের জন্য কারাগার হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে ভারতের একটি স্টেডিয়াম।

পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আওতাধীন চন্ডিগড় সেক্টর-১৬ স্টেডিয়ামটিকে অস্থায়ী কারাগার হিসেবে ব্যবহার করার আদেশ দেয়া হয়েছে দ্য ইউনিয়ন টেরিটরি এডমিনিস্ট্রেশন থেকে। এ আদেশ অনুযায়ী সেক্টর-১৯ স্টেডিয়াম এবং মানিমাজরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সকে ব্যবহার করা হচ্ছে কারাগার হিসেবে।

Advertisement

ভারতে চলতি লকডাউন অমান্য করে যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন বা হবেন, তাদেরকে নিয়ে রাখা হচ্ছে এই অস্থায়ী কারাগারে। পাঞ্জাব প্রদেশে লকডাউন অমান্যকারীদের প্রথমে গ্রেফতার করে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারা অনুযায়ী করা হচ্ছে প্রাথমিক প্রতিবেদন। এরপর চালান করে দেয়া হচ্ছে সেক্টর-১৬ স্টেডিয়ামের কারাগারে।

এ মাঠটিতে এখন আর খেলা না হলেও, এর রয়েছে টেস্ট ভেন্যুর মর্যাদা। ১৯৯০ সালের নভেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই স্টেডিয়ামের একমাত্র টেস্টটি খেলেছিল ভারত। এছাড়া আরও পাঁচটি ওয়ানডে আয়োজিত হয়েছে এই মাঠে। যার একটিতে আবার খেলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

এসএএস/এমএস

Advertisement