সামাজিক দূরত্ব ও হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সিলেটসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় একযোগে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার সিলেট সদর, মহানগর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা প্রবাসী ও তাদের স্বজনদের পর্যবেক্ষণ করেন এবং অযথা বাজারের রেস্তোরাঁগুলোতে বসে আড্ডা ভেঙে দেন। পাশাপাশি সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুলে পাথর ভাঙা বন্ধ করে দেয় সেনাবাহিনী।
ধোপাগুলের অভিযানের নেতৃত্বে থাকা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বজিৎ দেব বলেন, ওই স্টোন ক্রাশার মিলগুলোতে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কাজ করছিলেন। আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টিম দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মগলাবাজার এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় হোম কোয়ারেন্টাইন পর্যবেক্ষণে যায়।
Advertisement
সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার মাহবুবুর রহমান বলেন, যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তারা ঠিকমতো নিয়ম মানছেন কি-না তা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন না তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও যদি তারা হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম না মানেন তাহলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিলেটের বিশ্বনাথে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন সেনাবাহিনীর লে. মোহাম্মদ নাইম। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা করা হয় এবং একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভায় লে. মোহাম্মদ নাইম জানান, আগামীকাল শুক্রবার থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতার জন্য বিশ্বনাথের গ্রামগঞ্জে সেনাবাহিনীর টিম কাজ করতে মাঠে নামবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কামরুজ্জামান বলেন, বৈঠকে করোনোভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব তৈরিতে জনসাধারণকে বিনা কারণে ঘর থেকে বের হওয়া রোধ ও বিদেশফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণে একযোগে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Advertisement
ছামির মাহমুদ/এএম/পিআর