অর্থনীতি

দাম বেড়েছে লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশের?

করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে ইউনিলিভার তার লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সমালোচনা চলছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশের দাম বাড়ানো সংক্রান্ত অভিযোগটি সত্য নয়।

Advertisement

বিভিন্ন মাধ্যমে সমালোচনা করে লেখা হচ্ছে- লাইফবয় ২০০ মিলি হ্যান্ডওয়াশ গত জানুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ ৯০ টাকা থেকে দাম কমিয়ে ৭৫ টাকা করা হয়। এরপর এ মাসের ১৪ তারিখ পূর্ব নির্ধারিত মূল্য ৯০ টাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু তিন দিনের ব্যবধানে ১৭ মার্চ থেকে দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ৯৫ টাকা করা হয়েছে।

লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশের দাম বাড়ানো হয়েছে, এমন সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব লেখা হয়েছে তার পাশে ২০০ মিলি হ্যান্ডওয়াশের ছবিও দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে লাল বোতলের গায়ে ৯০ টাকা এবং হলুদ বোতলের গায়ে ৯৫ টাকা লেখা রয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হলুদ বোতলের ২০০ মিলি লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশ ২০১৯ সাল থেকেই ৯৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আর লাল ও নীল বোতলের ২০০ মিলি হ্যান্ডওয়াশ ২০১৭ সাল থেকে ৯০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisement

তবে প্রোমো হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক মাসের জন্য লাল, নীল ও হলুদ বোতলের দাম ১৫ টাকা করে কমানো হয়। এতে লাল ও নীল বোতলের ২০০ মিলি হ্যান্ডওয়াশের দাম ৯০ টাকার বদলে ৭৫ টাকা এবং হলুদ বোতলের দাম ৯৫ টাকার বদলে ৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে এক মাসের প্রোমো শেষে ফেব্রুয়ারিতে আবার আগের দামে অর্থাৎ ৯০ ও ৯৫ টাকায় ফিরে আসে।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইউনিলিভারের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স শামীমা আক্তার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা কোনো পণ্যের দাম বাড়াইনি। ইউনিলিভারের মতো কোম্পানির পক্ষে রাতারাতি পণ্যের দাম বাড়ানো সম্ভব নয়। জানুয়ারিতে লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশে এক মাসের জন্য আমাদের একটি প্রোমো ছিল। তাতে ২০০ মিলি হ্যান্ডওয়াশে ১৫ টাকা ছাড় দেয়া হয়েছিল। এই প্রোমো শেষে আবার রেগুলার দামে ফিরে এসেছে।

তিনি বলেন, হলুদ বোতলের ২০০ মিলি লাইফবয় হ্যান্ডওয়াশ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই ৯৫ টাকা এবং লাল ও নিল বোতলের ২০০ মিলি. হ্যান্ডওয়াশ ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় কেউ কেউ লাল বোতলের সঙ্গে হলুদ বোতলের দাম তুলনা করে বলছে, আমরা ৫ টাকা বাড়িয়েছি। এটা খুবই দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন, ইউনিলিভারের মতো কোম্পানি এই মহামারির মতো সময়ে এমন কাজ করবে না। যেখানে আমরা সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে কোটি কোটি টাকা খরচ করছি। ইতোমধ্যে কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা ডোনেশন হিসেবে খরচ করা হয়েছে। সেখানে এই ধরনের কথা (দাম বাড়ানোর অভিযোগ) সম্পূর্ণ অনৈতিক।

Advertisement

এমএএস/এমএসএইচ/এমকেএইচ