দেশজুড়ে

দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দোকানের সামনে অন্তত তিন ফুট দূরে দূরে গোলচিহ্ন এঁকে দেয়া হয়েছে। এসব চিহ্নিত স্থানে দাঁড়াচ্ছেন ক্রেতারা। সামনের ব্যক্তিটি কেনাকাটা সেরে গোলচিহ্নিত স্থান ত্যাগ করছেন। ততক্ষণ পেছনের ব্যক্তিটি তিন ফুট পেছনে থাকা গোলচিহ্নিত স্থানে অপেক্ষা করছেন।

Advertisement

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাগুরা সদর উপজেলায় এমন ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। বিদেশফেরত ব্যক্তিদের বাড়ির সামনে লাল পতাকা টানিয়ে এর আগে এলাকাবাসীকে সতর্ক করেছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সুফিয়ান।

এবার শহরের নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকানগুলোর সামনে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে একাধিক টিমের মাধ্যমে মাইকিং করার পাশাপাশি তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে দোকানের সামনে বক্স এঁকে দেন ইউএনও।

সরেজমিনে দেখা যায়, ইউএনও আবু সুফিয়ান মাগুরার মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান সড়কে সেনা সদস্য, পুলিশ, আনসার ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকানের সামনে করোনা সচেতনতায় মাইকিং করছেন। পরে মাগুরা হাসপাতালের পশ্চিম পাশের সড়কে তিন ফুট দূরে দূরে সাদা রঙ দিয়ে বক্স এঁকে দেয়া হয়। এর আগে শহরের সৈয়দ আতর আলী সড়কের বিভিন্ন স্থানে একইভাবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি।

Advertisement

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সুফিয়ান বলেন, সেনা সদস্য, পুলিশ, আনাসারসহ সম্মিলিত ফোর্স নিয়ে সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দোকানপাট বন্ধ ও জনসমাগম বিচ্ছিন্ন করা হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শহরের ওষুধ, নিত্যপণ্যের দোকানে ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রাখতে রঙ দিয়ে তিন ফিট দূরত্বের চিহ্ন এঁকে দেয়া হয়েছে।

এএম/এমকেএইচ