জাতীয়

থামানো যাচ্ছে না কিশোর-তরুণদের আড্ডাবাজি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য সরকার নানা ব্যবস্থা নিলেও মহল্লায় মহল্লায় উঠতি বয়সী কিশোর-তরুণদের আড্ডা থামানো যাচ্ছে না। নিত্যপণ্যের দোকান ছাড়া সব বন্ধ থাকলেও অযথা ঘোরাঘুরি করছেন এই কিশোর-তরুণরা। ক’জন জটলা পাকিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন তো, কেউ আবার মোটরবাইকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন, তা-ও হেলমেট বা কোনো ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই। তাদের পাশাপাশি প্যাডেলচালিত রিকশার দাপটও লক্ষ্য করা যাচ্ছে রাজধানীর পাড়া-মহল্লায়।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, তরুণদের এভাবে আড্ডাবাজি থামানো না গেলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো কঠিন হয়ে পড়বে। পাশাপাশি এই রিকশাচালকদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। যদিও রিকশাচালকদের অনেকে বলছেন, তারা পেটের তাগিদেই এই দুর্যোগেও রাস্তায় বেরিয়েছেন।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় এবং মহাখালী টিবি গেইট এলাকার কয়েকটি মহল্লা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার অলি-গলিতে উঠতি বয়সী কিশোর-তরুণরা ঘোরাঘুরি করছেন। কেউ কেউ জটলা পাকিয়ে আড্ডাও দিচ্ছেন। এসব এলাকা সংলগ্ন মূল সড়কে পুলিশ ও সেনা টহল থাকলেও মহল্লাগুলোতে এমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। এই সুযোগেই আড্ডা দিয়ে বেড়াচ্ছেন করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপারে অসচেতন কিশোর-তরুণরা।

মহাখালী টিবি গেটে দুইজন বন্ধু নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন রাশেদ মিয়া। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, বাসায় বন্দী থাকতে তাদের লাগছে না। তাই বাইরে বের হয়েছি।

Advertisement

অন্য দিকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবাধে চলাচল করছে রিকশা। হাতিরঝিল সংলগ্ন মহানগর প্রজেক্টের রিকশাচালক জিয়াউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ১০ দিন আমরা কাজ না করে কীভাবে চলব? সরকারি সাহায্য কোনোদিনই আমাদের কাছে আসেনি, আসবেও না। তাই পেটের তাগিদে রিকশা বের করেছি।

এভাবে অবাধে রিকশা চলাচল নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, পরিবেশগত কারণে এসব রিকশাচালক মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তবে তাদের রুটি-রুজির বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে। সরকার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে। যাতে তারা একটা প্রণোদনা পায়।

এইচএস/এইচএ/পিআর

Advertisement