‘উনি জমিদারের…, গাড়ি ছাড়া চলেন না, একটু রাস্তাও হাঁটতে পারেন না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করার পরও গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন কেন?’
Advertisement
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যেও অযথা ঘুরতে বেরোনো এক প্রাইভেটকারের চালককে এভাবে ধমক দিলেন সিভিল ড্রেস পরিহিত একজন পুলিশ কর্মকর্তা। ধমক শুনে পাশেই দাঁড়ানো কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছুটে এলেন। এ সময় তারাও তৎপর হয়ে রাস্তায় চলাচলকারী প্রতিটি প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যানসহ অন্যান্য মোটরচালিত যানবাহন আটকে কী প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হয়েছেন জানতে চান। জবাব সন্তোষজনক না হলেই রাস্তার পাশে দাঁড় করিয়ে রাখছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর নিউমার্কেট ফুটওভার ব্রিজের সামনে জাগো নিউজের চোখে এমনই এক দৃশ্যপট ধরা পড়ে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং গণপরিবহন নিষিদ্ধসহ বিভিন্ন সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। সংক্রমণ এড়াতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া জনগণকে ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও নিষেধ অমান্য করে অনেকেই বিনা প্রয়োজনে ব্যক্তিগত যানবাহন নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। এমনই অপ্রয়োজনে ঘোরাঘুরি বন্ধে মাঠে নেমেছে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের মোড়ে মোড়ে পুলিশের টহল গাড়ি প্রহরা দিচ্ছে। কোথাও কোথাও রাস্তায় বের হওয়া গাড়ি আটকে কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। অধিকাংশ যানবাহনের মালিকই গণপরিবহন বলতে শুধু বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইঞ্জিনচালিত হলার গাড়িকে বুঝেছেন। আর তাই ফাঁকা রাস্তায় গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যাপক তৎপর হয়ে তাদের ঘরে ফিরিয়ে দিতে দেখা গেছে।
Advertisement
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউমার্কেট থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে জাগো নিউজকে বলেন, জাতীয় এ দুর্যোগকালেও অনেকে শখ করে ঘুরতে বেরিয়েছেন। অনেকে আবার ক্ষমতার জোর দেখাচ্ছেন। কিন্তু তারা বুঝতে চাইছেন না এভাবে বের হওয়া তাদের জন্যও কতটা ঝুঁকিপূর্ণ।
এইচএ/জেআইএম