খেলাধুলা

লকডাউনে ক্রিকেট খেলতে বাঁধা দেয়ায় পুলিশের ওপর হামলা

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ২১ দিনের জন্য লকডাউন করে দেয়া হয়েছে পুরো ভারত। দেশটির প্রধানমন্ত্রী খোদ নরেন্দ্র মোদি দেশবাসীকে অনুরোধ করেছেন এ কয়েকদিন ঘরের মধ্যেই অবস্থান করতে।

Advertisement

মোদির সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন ভারতের সব তারকারাও। বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি এবং অন্যান্য সব ক্রিকেটাররাই আহ্বান জানিয়েছেন লকডাউনের সিদ্ধান্তটা মানার জন্য।

কিন্তু কিসের কী! কে শোনে কার কথা? লকডাউন অমান্য করেই ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়েছেন একদল অসচেতন মানুষ। তাদের খেলতে মানা করায় আবার হামলাও করেছেন পুলিশের ওপর।

সবাই জানে, ভারতে ক্রিকেটকে ধরা হয় স্বতন্ত্র একটি ধর্ম হিসেবে। সেই ধর্মের ঈশ্বর আর কেউ নন, সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকার। তিনিও বলেছেন আপাতত এই কয়দিন ক্রিকেট খেলা থেকে বিরত থাকতে।

Advertisement

কিন্তু ক্রিকেট ঈশ্বরের কথাও মানেননি মধ্যপ্রদেশের দেয়াস জেলার মানুষেরা। বুধবার লকডাউন অমান্য করেই খেলতে নেমেছেন ক্রিকেট। পরে পুলিশ তাদের বাঁধা দিলে ইট নিক্ষেপ করে অন্তত ৪ পুলিশকে আহত করেছেন সেসব আইন অমান্যকারী মানুষ।

বুধবার বিকেলের দিকে লকডাউন অমান্য করার তথ্য পেয়ে দেয়াসের একতা নগর কলোনীর উজ্জাইন রোড এরিয়াতে হানা দেয় পুলিশের একটি দল। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পায় খোলা জায়গায় ক্রিকেট খেলছে কয়েকজন যুবক।

ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাদের ক্রিকেট খেলতে বাঁধা দেন পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু খেলা বন্ধ করার বদলে পুলিশদের গালিগালাজ করার পাশাপাশি ইট নিক্ষেপ করতে থাকে যুবকরা। এদের মধ্যে নিজেকে আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দেয়া এক যুবক পুলিশ সদস্যকে থাপ্পড়ও মেরেছেন।

এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ পরিদর্শক যোগেন্দ্র সিং সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা জানতে পারলাম আমাদের একটি বাহিনী আক্রমণের শিকার হয়েছে। তৎক্ষণাৎ আরও সদস্য নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখি, সবাই পাথর ছুড়ছে পুলিশের উদ্দেশে। এতে চারজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। দুজন নারী ও দুজন পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

Advertisement

এসএএস/জেআইএম