লাইফস্টাইল

এই সময়ে মন ভালো রাখতে যা করবেন

এমন দিন জীবনে কখনো আসেনি। অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘরে বন্দি। কর্মব্যস্ত জীবন হঠাৎ এমন স্থবির হয়ে পড়লে জীবনযাপনে অনেকটা পরিবর্তন আসবে, এটাই স্বাভাবিক। যে অবসরের জন্য মন হাহাকার করতো ভীষণ, সেই অবসর আপনি যাপন করছেন অথচ মন ভালো নেই। কী হবে, আদৌ কি সব আগের মতো হবে, এসব চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। রয়েছে সংসার খরচ জোগানোর চিন্তা, ছেলেমেয়ে, আত্মীয়-পরিজন এমনকী নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা। এমন অবস্থায় মন ভালো রাখা কঠিন। তবে সুস্থতার জন্যও মন ভালো রাখা জরুরি। জেনে নিন এই সময়ে মন ভালো রাখতে করণীয়-

Advertisement

আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ঘরে অতিরিক্ত খাদ্য সামগ্রী মজুত করবেন না। এতে সমাজে অন্য বিপদ সৃষ্টি হবে যা এই মুহূর্তের বিপদকে আরো বাড়িয়ে দেবে।

সংসার বুদ্ধি করে চালাবেন, ছুটিতে আছেন ভেবে এলাহি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করতে যাবেন না। ঘরের খাবার-দাবার বুঝে খরচ করুন এবং শরীর সুস্থ রাখুন।

বাড়িতে বয়স্ক মানুষ, অসুস্থ মানুষ ও শিশুদের বিশেষ খেয়াল রাখবে । এই সময়ে অন্য অসুখ হলে সমস্যা বাড়বে।

Advertisement

বাড়ির কাজ সবাই ভাগ করে করুন। কেউ কাজে ভুল করলে বকাবকি না করে শুধু সংশোধন করে দিন । একে অন্যের সমালোচনা করবেন না।

শিশুরা খেলতে না পেরে অস্থির হয়ে যেতে পারে। তাই শিশুদের সামর্থ্য অনুযায়ী আপনাদের সঙ্গে ঘরের কাজে লাগাবেন এবং সময় নিয়ে ওদের সঙ্গে খেলবেন।

যে যা ওষুধ নিয়মিত খান সেগুলো ঠিক মতো খাবেন। ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। হঠাৎ করে ওষুধ বন্ধ করবেন না।

ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা বাদ দিন। শরীরের ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। আপনার সুস্থতা আপনার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখবে।

Advertisement

নিজের যে শখগুলো এতদিন সময়ের অভাবে পূরণ করতে পারছিলেন সেগুলো যদি বাড়ি বসে করা যায় তবে তাতেমন দিন। বাড়িতে থাকার একঘেয়েমি কাটাতে কিছু সৃষ্টিশীল কাজ করতে পারেন।

স্বামী ও স্ত্রী, বাবা-মা ও সন্তান, ভাই ও বোন- সব সম্পর্কেই দ্বন্দ্ব থাকতে পারে। এই সময়ের জন্য নিজেকে একটু বোঝান যে এই বিপদের দিনে এই মানসিক দ্বন্দ্ব সরিয়ে রেখে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান দরকার।

আপনার চারপাশে খেটে খাওয়া দিন মজুরদের আর্থিক কষ্টের কথা মাথায় রাখবেন। আপনার এলাকায় তহবিল তৈরি করলে যারা আর্থিক সঙ্কটে পড়বে তাদের সাহায্য করতে পারবেন।

আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা। সবার আগে সুস্বাস্থ্য ও সুস্থতা নিশ্চিত করুন।

এইসময়/এইচএন/জেআইএম