দেশজুড়ে

দূরত্ব বজায় রাখতে দোকানের সামনে গোল বৃত্ত

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে বলা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর দোকান ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।

Advertisement

ওষুধের দোকানে ভিড় বেড়েছে। তাই ক্রেতাদের মধ্যে কম করে এক মিটার দূরত্ব রাখতে সাদা রঙ দিয়ে রাস্তার ওপর গোল বৃত্ত এঁকে দেয়া হচ্ছে।

বুধবার (২৫ মার্চ) দুপুরে পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন ওষুধের দোকানের সামনের সড়কে ওই গোল বৃত্ত আঁকার কাজ করছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা উজ্জ্বল সিকদার।

ওই গোল চিহ্নের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকেছেন ক্রেতারা। একটি বৃত্ত ফাঁকা হলেই পরেরজন এগিয়ে যাচ্ছেন। এভাবেই শহরের মুসলিম গোরস্থানের পেছনের সড়কে ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে হচ্ছে সবাইকে।

Advertisement

মেসার্স আনিকা ফার্মেসির মালিক মো. জাকির হোসেন গাজী বলেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কে আমরা সবাই। প্রশাসন বলছে, বাঁচতে হলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কিন্তু কেউ সেটা মানছে না। দুপুরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা উজ্জ্বল সিকদার ভাই দোকানের সামনের সড়কে ওই সুরক্ষারেখা এঁকেছেন। এখন ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে আসছে। এটা অনেক ভালো হয়েছে। অন্য দোকানের সামনে এমন রেখা থাকলে ভালো হবে।

শহরের বাসিন্দা আবুল ফরাজি জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দোকানের সামনে বৃত্তের মধ্যে দাঁড়িয়ে আমরা ওষুধ কিনেছি। পুরো জেলা শহরের নিত্যপণ্যের দোকানের সামনে এমন উদ্যোগ নিলে ভালো হতো। নিয়ম মানলে আমাদের জন্য ভালো।

উজ্জ্বল সিকদার বলেন, করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ভালো। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নিজ উদ্যোগে আজ তিনটি ওষুধের দোকানের সামনে সুরক্ষারেখা এঁকেছি। প্রতিটি দোকানের সামনে ৮টি করে গোল বৃত্ত এঁকেছি। সবাইকে সচেতন করতে আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। সবাই সচেতন হলে এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এমএএস/বিএ

Advertisement