জাতীয়

প্রশাসক যাবে ইউনিয়ন পরিষদেও

ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ও জেলা পরিষদ এবং পৌর সভাগুলোতে মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে নির্বাচিত প্রতিনিধি ওই পদে আর থাকতে পারবেন না। এসব জনপ্রতিনিধির স্থলে প্রশাসক নিয়োগ দেবে সরকার।সোমবার মন্ত্রীসভায় পাস হওয়া ৫টি আইনের সংশোধনী এনে এই সুযোগ রাখা হয়। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রীসভার নিয়মিত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।  এরপর সাংবাদিকদের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিটি কর্পোরেশন বাদে অন্যান্য আইনে যে বিধান রয়েছে তাতে পাঁচ বছর মেয়াদের পর কোনো কারণে নির্বাচন না হলে আগে যারা ছিলেন তারাই দায়িত্ব চালিয়ে যেতেন। আইন সংশোধনের পর তা আর সম্ভব হবে না।তিনি আরো বলেন, মেয়াদ শেষ হলে সরকার যথাসময়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করবে। যদি কোনো জটিলতায় নির্বাচন না করতে পারে, অন্তবর্তীকালীন সময়ের জন্য প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। এটা বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনে আছে।তিনি আরো জানান, আগে এটা কেবল সিটি কর্পোরেশন আইনে ছিল এখন এই বিধান প্রতিটি আইনে যুক্ত করা হয়েছে। তবে প্রশাসকরা কতদিন থাকবেন জানতে চাইলে সচিব বলেন, প্রশাসকরা নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত থাকবেন। এর মধ্যে সরকার চাইলে তাদের পরিবর্তন করে দিতে পারবে।জাতীয় সংসদের মতো স্থানীয় নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ১ শতাংশ সমর্থক ভোটারের তালিকা দিতে হবে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অধ্যাদেশ বা সংসদে আইন পাস হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন বিধিমালা সংশোধনের সময় বিষয়টি ঠিক করবে।আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দলীয় প্রার্থীরা স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবেন। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জন্য আলাদা প্রতীক থাকবে।এসএ/এসকেডি/পিআর

Advertisement