সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুর পর মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক ব্যক্তিকে দাফন করার পর একটি গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। একইসঙ্গে ৬টি বাড়ির ২৬ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
Advertisement
বুধবার দুপুরে ঘিওর উপজেলার বাইলজুরি গ্রামকে লকডাউন এবং কোয়ারেন্টাইন ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আক্তার।
নিহতের ভাই আব্দুল মালেক জানান, ঢাকার মেট্টোপলিটন মেডিকেল সেন্টারে ক্যাশিয়ার পদে চাকরি করতেন আলমগীর হোসেন (৪৯)। সপ্তাহ খানেক আগে তিনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। হাসপাতাল থেকে তাকে ছুটি দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেন। এরপর থেকে তিনি বাসাতেই ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান। ভোর ৪টার দিকে লাশ বাইলজুরি গ্রামে এনে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইরিন আক্তার জানান, পরিবারের সদস্যরা অনেকটা গোপণীয়তার মধ্যে লাশ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করেছেন। স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়নি। এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত শুনেন। তার মৃত্যুর উপসর্গ করোনাভাইরাসের উপসর্গের সঙ্গে মিল রয়েছে। এ কারণে বাড়তি সতর্কতার জন্য ওই পরিবারসহ আশপাশের ৬টি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টাইন এবং পুরো বাইলজুরি গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
Advertisement
শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানিয়া সুলতানা জানান, লকডাউন ঘোষণার পর পুরো এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৬টি বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার স্টিকার লাগিয়ে দেয়া হবে। গ্রামে মোতায়েন করা হবে পুলিশও।
বি.এম খোরশেদ/এমএএস/পিআর