একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় কিশোরগঞ্জের অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিনসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।একই সঙ্গে আগামী ৪ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে ওপেনিং স্টেটমেন্ট (সূচনা বক্তব্য) উপস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ আনা হয়েছিল। আসামি অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন ছাড়া বাকী আসামিরা হলেন- পলাতক সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মো. নাসিরউদ্দিন আহমেদ, গাজী আব্দুল মান্নান, হাফিজ উদ্দিন ও আজহারুল ইসলাম।সোমবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতিরা হলেন, মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী।আজ আদালতে শুনানি করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। সঙ্গে ছিলেন রেজিয়া সুলতানা চমন। তার আগে গত ৪ অক্টোবর আদালতে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন, তাকে সাহায্য করেন প্রসিকিউটর সুলতানা রেজিয়া সুলতানা চমন। অপরদিকে আসামি পাঁচজনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান।এসময় গ্রেফতারকৃত আসামি অ্যাডভোকেট শামসুদ্দিন আহমেদ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৪ অক্টোবর আদেশের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন আদালত। এর আগে গত ১৩ মে পাঁচ রাজাকারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, লুণ্ঠন, নির্যাতনসহ সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। আসামিরা কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার বিদ্যানগর, আয়লা, ফতেরগুপ বিল, পীরাতন বিল ও আশেপাশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এসব মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের বিষয়ে প্রসিকিউশনের পক্ষে ৪০ জনকে সাক্ষী করা হয়।এফএইচ/এআরএস/এমএস
Advertisement