ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যাজটের সৃষ্টি হয়েছে। এই যানজটে আটকা পড়েছেন করোনার প্রভাবে ১০ দিনের বন্ধে ঘরেফেরা হাজারো যাত্রী। বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে নাটিয়াপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটে আটকা পড়া যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
Advertisement
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি অফিস ১০ দিনের বন্ধ ঘোষণায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে একযোগে মানুষ ঘরে ফিরতে মহাসড়কে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এতে মহাসড়কে যানবাহনের চাপও কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
এছাড়া মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার হাটুভাঙ্গা, জামুর্কী ও কদিম ধল্যায় ৬ লেনের আন্ডারপাসের কাজ চলমান থাকায় এবং রাস্তার ওই অংশে খানা খন্দকের সৃষ্টি হওয়ায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে মির্জাপুর হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছেন।
দুপুর ১২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত যানবাহনের চাকা ধীর গতিতে চললেও যানজট অব্যাহত রয়েছে। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়া পর্যন্ত ১৪ ঘণ্টা স্থায়ী ভয়াবহ এই যানজটে হাজারো যাত্রী চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নারী ও শিশুরা।
Advertisement
মঙ্গলবার রাত ১টায় ঢাকা থেকে আসা উত্তরবঙ্গগামী বাসের যাত্রী রুমিনা বেগম বলেন, করোনার কারণে ১০ দিনের ছুটি হওয়ায় গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। রাত ৩টার দিকে চন্দ্রা এলাকায় যানজটে আটকা পড়ি। এরপর গোড়াই যানজটে আটকা পড়ে প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে কুর্ণীতে বসে আছি।
মির্জাপুর গোড়াই হাইওয়ে থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান জানান, মহাসড়কে হঠাৎ যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় এই যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ধীর গতিতে হলেও ১২টার পর যানবাহনের চাকা চলছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এস এম এরশাদ/এফএ/জেআইএম
Advertisement