বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৯১। ১৯৭টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা চীনে। এছাড়া সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে।
Advertisement
মৃত্যুমিছিল বাড়ছে ইরান আর স্পেনেও। হংকং, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান চীনের খুব কাছে হলেও এখানে করোনা সেভাবে তাণ্ডব চালাাতে পারেনি।
হংকংয়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৬। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মাত্র চারজনের। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরে ৫৫৮ জন আক্রান্তের মধ্যে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুজনের। তাইওয়ানেও ২১৬ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুজনের।
চীনে যখন করোনা মাত্র থাবা বসিয়েছে তখন থেকেই করোনা মোকাবিলায় যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে দেশগুলো। লকডাউন থেকে শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া সব নির্দেশনা মেনে চলেছে তারা।
Advertisement
যার ফলে এই যুদ্ধে তারা অন্যান্য দেশের কাছে মডেল হয়ে উঠেছে। ১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া ভ্রমণ গাইডলাইন অনুসারে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকেই এই দেশগুলোতে চীনের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এমনকি ওই সময়ের মধ্যে যেসব যাত্রী এসেছেন তাদেরও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল।
হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, প্রতিদিন বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর মানুষ সিঙ্গাপুরে আসেন। শুধুমাত্র এতো দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়াতেই তারা এভাবে করোনার বিস্তার কমাতে পেরেছে।
এছাড়াও এখনও পর্যন্ত যে কয়েকজন বাইরে থেকে সিঙ্গাপুরে এসেছেন প্রত্যেকের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই সকলের ভ্রমণ ইতিহাস জেনে এই পরীক্ষা করা হয়েছে। এছাড়াও হ্যান্ড স্যানিটাইজেশন থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা সবই খুব কঠোরভাবে পালন করেছে সিঙ্গাপুর।
কোনও রকম গুজব নয়, বরং বারবার মানুষকে সচেতন থাকার কথা বলেছে এই দেশগুলো। এছাড়াও হংকং ও সিঙ্গাপুর সরকার সকলের জন্য বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিল।
Advertisement
সরকারি থেকে বেসরকারি সব ল্যাবেই বিনামূল্যে করোনার পরীক্ষা হয়েছে। এমনকি ভুল তথ্য দেওয়ার অপরাধে দুজন বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসাও বাতিল করে দিয়েছে সিঙ্গাপুর। যারা হোম কোয়ারেন্টানে থাকেতে চায়নি তাদের আবাসিক অনুমোদনও বাতিল করে দিয়েছে।
মাস্ক থেকে ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কায় তাইওয়ান সরকার যাবতীয় সার্জিক্যাল মাস্ক নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। যার ফলও পেয়েছে তারা। তাইওয়ানের কোনও বাসিন্দাই মাস্ক ব্যবহার করেননি। এই দেশগুলোকেই এখন অনুসরণ করে চলতে চাইছে বিশ্ব।
টিটিএন/পিআর